গাজীপুরের টঙ্গির তুরাগ নদের তীরে ফজরের নামাজের পরে বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ইজতেমার কার্যক্রম। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।
ইজতেমার এই পর্বে অংশ নিয়েছেন ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শুরায়ী নেজামের তাবলীগের সাথীরা। ইজতেমা উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
ইজতেমায় মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, বিগত বছরগুলোতে শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমা শুরু হলেও এবার মাগরিবের নামাজের পর আম বয়ান হয়েছে। নামাজের পরে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে এবারের টঙ্গীর ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বয়ানের তরজমা করেছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের। শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করছেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়া উল হক। আজ সকাল ১০টায় বিভিন্ন খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হবে। দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের। জুমার নামাজে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। সকাল থেকে তারা দলে দলে আসতে শুরু করেছেন।
এদিকে, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ১৪টি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে রেলওয়ে। এ ছাড়া মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
এ ছাড়া ইজতেমার নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। পুরো ময়দান ৫টি সেক্টরে ভাগ করে কাজ শুরু করেছে প্রায় ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ইজতেমার প্রথম ধাপে অংশ নিচ্ছে গাজীপুর, নড়াইল, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, খুলনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা এবং ঢাকার ডেমরা, কাকরাইল, মিরপুর, ধামরাই, দোহার ও নবাবগঞ্জ এলাকার মুসল্লিরা।