রুদ্রবার্তা২৪.নেট: বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান বলেছেন, সবাই বলেছে নির্বাচন হয়েছে শান্তিপ্রিয়ভাবে। আমিও তাই মেনে নিয়েছি। পরাজয় মেনে নিয়েছি কিন্তু নির্বাচনের পরের দিন আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা করা, দোকান-পাট লুট করা, মুরগির খামার লুট করা এগুলো কি সহ্য করবো! এগুলো আমরা সহ্য করবো না। যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তারা কোনো দিন অন্যায়কে প্রশয় দেয় না। আমার নেতাকর্মীকে আঘাত করবে আমরা এর প্রতিঘাত করবো। কারণ আমরা ধৈর্য ধরেছি এবং সহ্য করেছি।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ফরাজীকান্দা বালুর মাঠ এলাকায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিন জহিরের উপর হামলার ঘটনায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তুমি কিভাবে নির্বাচিত হয়েছো তা তুমি তোমার বিবেককে প্রশ্ন করো? নিজের অন্তরকে প্রশ্ন করো? কলাগাছিয়া ও নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশের মানুষ জানে কলগাছিয়ার নির্বাচন কি হয়েছে এখন সেটা সবার জানা আছে। আমি এখন তোমার সাথে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি তুমি নির্বাচনে আসবে? আসো। তুমি আমার সাথে নির্বাচন করলে তিনভাগের একভাগও ভোট পাবে না। তা তুমিও জানো আমিও জানি এবং আমাদের নেতৃবৃন্দরাও জানে। তারপরেও ছাড় দিয়েছি কিন্তু আমার জহির ভাইয়ের উপর এমন হামলা হলো কেন? তুমি তো আর তা জানো না! তুমি হুকুম দিয়েছো তোমার ছেলেসহ, তোমার ভাতিজা ও তাদের লোক দিয়ে যে মারা মেরেছো তাতে এখন জহির ভাই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আল্লাহ না করুক, ওনার যদি কিছু হয়ে যায় তোমার বাড়ি-ঘরের একটি ইটও থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, তুমি ঘারমোড়ার মাঠে বলেছো যে, তুমি হুকুম দিলে ফরাজীকান্দায় ৫-৭টা লাশ পরতো। আমি সেই চ্যালেঞ্জ নিলাম। তুমি হুকুম দেও, ফরাজীকান্দায় তুমি ৫-৭টা লাশ ফেলবে আর আমি আঙ্গুল চুষবো! সেটা তুমি কোনখান থেকে পেয়েছো? তোমার এত বড় সাহস কে দিয়েছে? একটা দিন তুমি জহির ভাইকে দেখতে তো যাওয়ার দূরের কথা তার খোজ খবরও নেও নাই। অথচ আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ভাই তার খোজ খবর নিয়েছে। তুমি সন্ত্রাসী হয়ে গেছো। তোমার সাথে ফরাজীকান্দার লোক চ্যালেঞ্জ নিয়েছে, তুমি যেকোনো শক্তি নিয়ে আসো না কেন ফরাজীকান্দার লোক তা প্রতিহত করবে।