সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহ ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ভার্চুয়াল সংলাপে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত নারায়ণগঞ্জের নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী আরও বলেন, এবার নির্বাচনটা ছিল অনেক গভীর ষড়যন্ত্রের একটা নির্বাচন। কিন্তু আল্লাহর রহমতে, মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার কারণে আমি সেখান থেকে বের হতে পেরেছি।
সংলাপে আইভী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে আরও বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার কাকা, যদিও উনাকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারপরেও উনি যাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন এবং উনি যাদের প্রার্থী ছিলেন, তারা নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহ ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছিল। সেটা কাউন্সিলরদের মাধ্যমেও চেষ্টা করেছে আবার নিজেরাও করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রশাসন সজাগ থাকার কারণে সেটা করতে পারিনি। আমি সেজন্যে প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসুল পৌরসভাকে এক করে নারায়ণগঞ্জকে দেশের সপ্তম সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয়। ওই বছরেই শামীম ওসমানকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমান পান ৭৮ হাজার ৭০৫ ভোট। ওই ভোটের শেষ মুহূর্তে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে সহজেই আইভী বিজয়ী হন।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আইভী এক লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হন। সেবার তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান। এবার বিজয়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত হলেন আইভী।