রিদু ও শামীম ঘনিষ্ট বন্ধু। রিদুর নেতৃত্বে রাত ১২টায় শামীমকে হন্যে হয়ে খোঁজেছে ৪ যুবক। রাত দু’টায় মেলেছে রক্তাক্ত লাশ। সেই রাতেই রিদুকে পুলিশ ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে।
তাই শামীমের পরিবারের ধারণা, হত্যার পিছনে রিদুসহ সেই ৪ যুবক জড়িত।
ফতুল্লার তক্কারমাঠের অজ্ঞাত সেই লাশটির নাম শামীম। সে ঠাকুরগায়ের পীরগঞ্জ থানার মনসুরের পু্ত্র, মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার বাপ্পি নামের এক ব্যক্তির গ্যারেজে থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
রাত ২টায় তক্কারমাঠ থেকে ছুরিকাঘাতে নিহত শামীমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই রাতেই রিদুসহ ৩ যুবককে ধারালো অস্ত্রসহ চাষাঢ়ার রূপায়ন টাওয়ারের সামনে ডাকাত সন্দেহে থেকে গ্রেপ্তার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ফতুল্লা রেল স্টেশন মসজিদ এলাকার নজরুল ইসলামের পুত্র শফিকুল (১৯) ও একই থানার আলীগঞ্জ এলাকার হাফেজ মোক্তারের ভাড়াটিয়া নুর ইসলামের পুত্র আলামিন(২৩)।
নিহত শামীমের কাছের বড় ভাই পরিচয়দানকারী ফরহাদ জানান, ১২ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার অটো রিক্সা নিয়ে বের হয় শামীম। সে সময় শামীমের মন খুব খারাপ ছিলো। কারণ জানতে জাইলে কোন উত্তর দেয়নি সে। শামীম প্রতিনিয়ত রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে গ্যারেজে ফিরতো। কিন্তু সেদিন ১২টার দিকে না ফেরায় অনেকেই ভেবে ছিল গাড়ী নিয়ে পালিয়েছে। পরদিন এক অটো চালকের মাধ্যমে জানতে পারে, তক্কারমাঠে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ পাওয়া গেছে। সেখানে গিয়ে লোকজনের সাথে কথা বলে ও ছবি দেখে নিশ্চিত হন; নিহত ওই যুবক শামীমই।
নিহত শামীমের বোন জামাই রবিউল জানান, শামীমের বোন দুদিন পূর্বে গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। গ্যারেজের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরে ১৩ জুন সন্ধ্যায় ফোন করে বলেন, শামীমকে হত্যা করা হয়েছে, থানায় গিয়ে খোঁজ নিতে। পরে সে থানায় যান এবং পরে মর্গে গিয়ে লাশ দেখে সনাক্ত করেন।