শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ঢাবিতে হামলাকারী আক্তারের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরে সমালোচনার ঝড়

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪, ১২.০৮ পিএম
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী দুই নারী শিক্ষার্থীর ওপর লাঠি হাতে হামলা চালানো যুবক শরীয়তপুরের আক্তার হোসেন ওরফে রুমন। তিনি বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

দুই নারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালানো তার ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আক্তার হোসেন ওরফে রুমনের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের পূর্বকান্দি এলাকায়। তার বাবার নাম মোতালেব ঢালী। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠেন তিনি। আক্তার হোসেন স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলন।

২০১৪ সালে চর মালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ২০১৬ সালে মাদারীপুর টেকেরহাটের সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকার বাংলা কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

গত ১ জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা সংঘর্ষে দুই আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীর ওপর লাঠি হাতে হামলা চালান আক্তার হোসেন ওরফে রুমন। পরপর সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তার এই ছবি শেয়ার করে সারাদেশসহ নিজ জেলার সাধারণ মানুষ সমালোচনা করতে থাকেন।

মুনতাহার নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘কাপুরুষ, তুই কোনো মায়ের সন্তান, কোনো কন্যার পিতা হবি একদিন, এই ছবি দেখে লজ্জিত হবি, আঁচলে মুখ ঢাকবি সেইদিন।’

এদিকে এই বিষয়ে জানতে আক্তার হোসেন ওরফে রুমনের ব্যবহৃত নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, আক্তার হোসেন রুমন ২০১২ সালের দিকে মঠেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ঢাকায় যাওয়ার পর বর্তমানে বাংলা কলেজে ছাত্ররাজনীতি করছেন। তার নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। এটা সেন্ট্রাল ও রাষ্ট্রীয় ইস্যু। আমি এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে পারবো না। তাছাড়া আমরা জানতে পেরেছিলাম, তিনি হামলা চালাননি, শুধু ভয় দেখানোর জন্য লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হয়েছেন। কেননা সবার ঘরের মা-বোন আছে। সেক্ষেত্রে তাদের ওপর মনে হয় না আঘাত করেছেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort