নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ড ডেঙ্গুর রেড জোনে পরিনত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমানের মিলাদ ও দোয়ার আয়োজনে তিনি এ মন্তব্য করে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগমকে নির্দেশ দেন টাকা বা মেশিন লাগলে আমার থেকে নেন আমি দেবো।
মেশিন দরকার হলে নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, কাউন্সিলর আনোয়ার চাচা, কাউন্সিলর বাদল থেকে নেন। সব মেশিন নিয়ে এসে এখানে লাগান। এটা রেড জুনে পরিনত হয়েছে।
শামীম ওসমান আরও বলেন, বাংলাদেশের কোনো জায়গায় এতো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়নাই এখানকার মতো। তাই কোনো কোন প্রকার গাফিলতি করবেন না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ এহসানুল হাসান নিপু, সাংসদ পুত্র অয়ন ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নাসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আনোয়ার ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী আমিনুল হক ভূইয়া রাজু, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব হোসেন, সরকারি তোলারাম কলেজের ভিপি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার রহমান বাপ্পি ও তপন মাহমুদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নেতা খন্দকার মানিক মাস্টার, সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ বেপারী, শ্রমিক লীগ নেতা কবির হোসেন, যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, নাসিক ৫ নং ওয়ার্ডে ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী । এতে আক্রান্ত হয়ে ৭/৮ জন মারা গেলেও নাসিক কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছেনা।
মৃত্যুর আগে আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মো. আনিসুর রহমান আনিস ন্জি উদ্যোগে ব্যাক্তিগত অর্থায়ানে এডিস মশার লার্ভা ও মশা নিধনে কাজ শুরু করলেও আজ তিনি নিজেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
স্থানীয়দের দাবি নাসিক ৫ নং ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু ঝুঁকি এলাকা ঘোষণা করার সাথে সাথে এ ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু মুক্ত করতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা নেয়া জরুরী। তারা বর্তমান পরিস্থিতির জন্য নাসিকের উদাসিনতাকেই দায়ি করছেন।