নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ সঙ্গে তো আমার আজকের পরিচয় না। আমরা ছাত্র রাজনীতি করতে করতে এখানে এসেছি।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) আমি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম বাংলাদেশে কিছু ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর জন্য। যেহেতু তিনি ঢাকার ডিবির দায়িত্বে আছেন, তাই আমার কাছে যেসব তথ্য আছে সেগুলো জানাতে চাই, যারা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায়, এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে চায় যেখান থেকে উঠে আসা কঠিন হবে। যেটা আপনারা দেখেছেন পুলিশকে কুপিয়ে মারা, সাংবাদিকদের মারা এসব কিছু তথ্য শেয়ার করা। এটা আমি এমপি হিসেবে নয়, সাধারণ মানুষ হিসেবে এসেছি জানাতে। দেশের সাধারণ মানুষ যদি কোনো তথ্য পায় সেটি দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে জানায়। আমি বিভিন্ন দিক থেকে খোঁজখবর পাই, এগুলো সঠিক কি না তা দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের। আমি মনে করি তিনি একজন শক্তিধর অফিসার তাই আমি তাকে বিষয়গুলো অবগত করেছি।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে যান শামীম ওসমান। সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির পক্ষ থেকে সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের মনোনয়ন ষড়যন্ত্র করে উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নমিনেশন পেপার যদি কেউ কিনে থাকেন তাহলে তার এসে প্রতিবাদ করা উচিত। হয়ত তিনি বলবেন আমার কেস আছে আমি আসতে পারছি না। আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করি যে ব্যক্তি তার ছেলে কাউন্সিলরের সচিব আমি শুনেছি, তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। এখানে দুটি জিনিস হচ্ছে এক তার আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন, দুই নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন, আর তিনি দেখাতে চান তার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। নিজে না এলে আইনের আওতায় এনে কারণ। কারো ভাবমূর্তি নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র, তাদের উচিত তার এ অভিযোগে নির্বাচনের কমিশনের কর্ণপাত করা ও সঠিক বিচার করা।
শামীম ওসমানের ওপরে হামলার আশঙ্কার প্রশ্নে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হত্যাচেষ্টা ও বোমা হামলা হয়েছে আমাদের ওপর ১৬ জুন ২০০১ সালে। আমরা তো মরেই গেছি, এ নিয়েই আছি, আপনারা দোয়া করবেন।
বিএনপি নির্বাচনে নেই তবুও খেলা হবে কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, খেলা হবে, হয়ত পরিচ্ছন্ন খেলা হবে, হয়ত ফাউল কম হবে।
ডিবি কার্যালয়ে খাবার খেয়েছেন কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি হারুন সাহেবের খাবার খায়নি, তার স্ত্রী আমার বোন হয়, আমি তার পাঠানো খাবার খেয়েছি। এর আগেও অনেকবার খেয়েছি, খাবার ভালোই হয়।