বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও গণমাধ্যকর্মী নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে শহরে পথ সমাবেশে

  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৩, ৩.৫৬ এএম
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সারাদেশে গণমাধ্যকর্মীদের উপর নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে নারাগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মীদের একটি পাঠচক্র দল ‘অনুশীল’ পথ সমাবেশের আয়োজন করে। রোববার (২ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ পথ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় অনুশীলনের পথ সমাবেশকে সম্মতিপ্রকাশ করে গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে, শিল্পী, সংস্কৃতিককর্মী, রাজনৈতিককর্মীসহ সকলে ডিজিটাল আইন বন্ধের দাবি জানিয়ে গণস্বাক্ষর, পারফরম্যান্স আর্ট, কবিতা আবৃত্তি, বক্তব্য প্রদান করেন।

 

সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা রফিউর রাব্বি বলেন,শিক্ষক হলেই জাতীর মাথা,জাতীর বিবেক তা মনে করার কোনে কারণ নাই। আজকে যে শিক্ষকরা এই শাসক গোষ্ঠি নিপিরনে অবস্থান গ্রহণ করেছে।

যে শিক্ষকরা শাসক গোষ্ঠির পক্ষে বিবৃতি দিচ্ছে এরা আমাদের দেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না। এরা শাসক গোষ্ঠির কাছে মগজ বিক্রি করে দেয়া কতিপয় প্রাণী এদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ হয়েছিলো।

১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধ বুঝতে হবে। আমাদের ভুখন্ডের সমতা মানুষের মাঝে ফিরে আনার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি। মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করেছিলো। সেটি প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি।

 

আমাদের দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাকিস্তানে চলে যাচ্ছিলো তার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি। দুশাসন থেকে পরিত্রানের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি।

কিন্তু আজ ৫২ বছর পরে চেহারা দাড়িয়েছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। পাকিস্তান আমলে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা অন্তত ছিল। নতুবা ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের সংখ্যা গরিষ্ঠ ভাবে নির্বাচিত হওয়ার কোনো কারণ ছিলো না। মানুষ অন্তত ভোট দিতে পেরেছে।

আজকে মানুষের ভোটের স্বাধীনতা নাই। কথা বলার স্বাধীনতা নাই। বিচার পাওয়ার স্বাধীনতা নাই। আইন দিয়ে সকলের কন্ঠ রোধ করতে চাইছে।

 

সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবন বলেন,সাংবাদিক মহল শুরু থেকে এই আইনের পতিবাদ করে আসছিলো এই আইনটি করা হয়েছে সংবাদপত্রের,গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করার জন্য। তখন সরকারে তরফ থেকে বলা হয়েছিলো এই আইন সংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না।

এখন আমরা কি দেখতে পারছি এ আইনটি শুধু সাংবাদিকে কন্ঠ রোধ করার জন্য করা হয়েছে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানতে পারলাম ডিজিটাল আইন পাশ হবার পর থেকে ২ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে এর মধ্যে বহু সাংবাদিক এই আইনের আসামি হয়েছেন তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক আছে।

প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলছি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই অবস্থার জন্য কি এই দেশ স্বাধীন হয়েছিলো কি না।

সুশানরে জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি ধীমান সাজ জুয়েল বলেন, কথিত বুদ্ধিজীবিদেরকে ঘৃনা জানাচ্ছি যারা বিবৃতি নামে নানান ভাবে সরকারে পা চাটচ্ছেন। নিজেকে তীব্র ঘৃনা বোধ করছি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এক জন সাবেক শিক্ষার্থী হিসাবে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এই বিষয় তারা শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা খুবিই বিস¥তি হয়েছেন।

অতান্ত লজ্জার সাথে জিজ্ঞেস করতে চাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা মাসে র‌্যাব যখন নওগার সাধারণ মহিলাকে নিয়ে তাদের হেফাজতে মেরে ফেলে তখন তাদের ধিক্কার কোথায় ছিলো? তখন আপনাদের ঘৃনাবোধ কোথায় ছিলো ? বিবেক কোথায় ছিলো সেই প্রশ্ন জাতির কাছে রাখলাম।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort