টনসিল অপারেশনে গিয়ে নারায়ণগঞ্জে এবার এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।
তারা দুজনই একই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে অপারেশনের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে চাষাড়ার সিলভার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে। মৃতের পরিবারের দাবি, চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় আনিকা আক্তার নামে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
আনিকা সদর উপজেলার ফতুল্লার নয়াবাজার এলাকার রোমান মিয়ার স্ত্রী। তার মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতালের ভেতর বিক্ষোভ ও পরে ভাংচুর করে। হাসপাতালের ম্যানেজারকে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা।
নিহতের স্বামী ও স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় সিলভার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনের তত্ত্বাবধানে টনসিলের অপারেশনের জন্য আনিকাকে ভর্তি করা হয়। অপারেশন শেষে রোববার ভোরে তার জ্ঞান ফেরে। এ সময় আনিকা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। পরে তাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপরই তার মৃত্যু হয়। আনিকার মৃত্যুর পর তার মরদেহ রেখে ডাক্তার, নার্সসহ হাসপাতালের সবাই পালিয়ে যায়।
আনিকার স্বামী বলেন, চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারে দাবি করছি।
এদিকে, রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতাল ভাংচুর করছে সংবাদ পেয়ে সিলভার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে যায় পুলিশ। পরে সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরের কল পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই। যিনি মারা গেছেন, তার পরিবার অভিযোগ করলে হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা দুজনকে আটক করেছি।
সম্প্রতি শহরের খানপুরে আল হেরা নামে আরেকটি হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনের তত্ত্বাবধানেই টনসিলের অপারেশনের পর এক শিশুর মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনার পর এখন পর্যন্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযোগ রয়েছে, এই হাসপাতালটির কোনো অনুমোদন ছিল না।