শরীর ব্যথা, জ্বর, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ, জ্বালা পোড়াসহ সব রোগের চিকিৎসা করেন ঝাড়ফুঁক ও পানিপড়া দিয়ে। অবশেষে প্রতারণার অভিযোগে জ্বিনের কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফতুল্লার মাসদাইর এলাকা থেকে মঙ্গলবার(৭ জুন) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে জ্বিনের কবিরাজের কাছে প্রতারণার শিকার হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে মাসদাইর খানকা মোড়ের গিয়াসের ভাড়াটিয়া আমিনুল ইসলামের মেয়ে মোসাঃ রিক্তা বেগম(৩৪) নামের গার্মেন্টস কর্মী।
গ্রেপ্তারকৃত নুর আলম রংপুর জেলার তারগঞ্জ থানার কুটিপাড়ার মৃত রজব আলীর পুত্র ও ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর জামালের গ্যারেজ সংলগ্ন মহিউদ্দিনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, বাদী মাসদাইর ফারিয়া গার্মেন্টসে চাকুরী করে। সে শরীর ব্যথা, জ্বর, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ, জ্বালা পোড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত। গার্মেন্টসের সহকর্মীদের নিকট থেকে জানতে পারেন গ্রেপ্তারকৃত কবিরাজ নুর আলম এ সকল রোগের চিকিৎসা করিয়ে থাকেন। সে তাঁর চিকিৎসার জন্য ২৯ মে কবিরাজের নিকট চিকিৎসা নিতে যায়। সেখানে গেলে কবিরাজ তাকে জানায় জ্বিনের মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা করা হবে। আর তার জন্য ৫ হাজার টাকা লাগবে। সে তৎক্ষনাক কবিরাজকে ২ হাজার ৫ শ টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে একদিন পর ৩০মে সন্ধ্যায় কবিরাজের নিকট গেলে জানায়, যে রাতে জ্বিন দিয়ে চিকিৎসা করাবে। এ জন্য ২ টি কবুতর, ৭টি কলা, শরিষা, পানির বোতল, কাঁচা পেপে, সোনামুখি সুইসহ আনুসাঙ্গিক বিভিন্ন জিনিস লাগবে। এতে খরচ হবে ১ হাজার ৫শ টাকা। রাত সাড় এগারোটার দিকে জ্বিন দিয়ে চিকিৎসা করার কথা বলে কবিরাজের নিজ ঘরে পানির সাথে চেতনানাশক কিছু একটা সেবন করিয়ে তাকে অচেতন করে বাদীকে মারধরসহ ঝাড়ফুক করে। রাত একটার দিকে বাদী ঘুম থেকে উঠে পুরো শরীর ব্যথা অনুভব করে। বিষয়টি কবিরাজকে জানালে দু-একদিনে মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে; আশ্বস্ত করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। কিন্ত শরীরের অবস্থা আরো বেশী অবনতি হলে পুনরায় কবিরাজের নিকট গেলে সে কিছু কবিরাজি ঔষধ দেয়। এতে ও সে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পরে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সোহাগ সাহা জানান, মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।