ভারতের সেরা আইনজীবী সতীশ মানিশিন্দেকে নিয়োগ দিয়েও ছেলে আরিয়ানের জামিন করাতে পারেননি শাহরুখ খান।
যে কারণে মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের হাইপ্রোফাইল জেলে ‘কয়েদি নম্বর ৯৫৬’ পরিচয়ে দিন কাটছে শাহরুখপুত্রের।
কারাগারের প্রকোষ্টে মনোবিদ দিয়ে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে আরিয়ান এবং তার দুই সঙ্গী আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচাকে।
জানা গেছে, এই কাউন্সেলিংয়ে ধর্মগ্রন্থ পড়ানো হচ্ছে আরিয়ানকে। ভবিষ্যতে যাতে একজন দায়িত্বশীল সুনাগরিক হয়ে উঠতে পারেন এ তারকা-সন্তান।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভির এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, কারাগারে বসে ধর্মগ্রন্থ কোরআন পড়ছেন আরিয়ান খান। মুসলিম হওয়ায় তাকে কোরআন শরিফ পড়তে দেওয়া হয়েছে তাকে। আর আরবাজ মার্চেন্টকে বাইবেল ও মুনমুন ধমেচাকে ভগবত গীতা পড়তে দেওয়া হয়েছে।
ধর্মগ্রন্থ পড়ে আরিয়ানসহ বাকি দুজন যেন, সৃষ্টি ও জীবনের উদ্দেশ্য কী জানতে পারে, প্রতিটি মানুষের সামাজিক দায়বদ্ধতা বিষয়ে জ্ঞান নিতে পারে এবং মাদক সেবক কতটা অন্যায় ও নিজের, পরিবারের এবং সমাজের ওপর কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তা শিখতে পারে।
আর্থার রোডের জেলে আরিয়ানের কাউন্সেলিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে একটি সমাজসেবী সংগঠন এবং নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে।
সমীর ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, প্রতিদিনই ২-৩ ঘণ্টা কাউন্সেলিং চলে আরিয়ানের। সেখানে শাহরুখপুত্রের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেন তিনি।
এনসিবি সূত্র জানিয়েছে, সমীরের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন আরিয়ান। শুধু তাই নয়; এমনটির পুনরাবৃত্তি আর কখনও হবে না বলেও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। আরিয়ান বলেছেন, ‘আমি একদিন এমন কিছু করব, যাতে আপনি গর্বিত হবেন’।
আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত আর্থার রোড জেলেই থাকতে হচ্ছে আরিয়ানদের। সেদিনই তার জামিনের পরবর্তী শুনানি হবে।