নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমাদের মাননীয় সুযোগ্য মন্ত্রী (তাজুল ইসলাম), যিনি ব্যাক্তিগত ভাবে আমার অনেক পছন্দের ব্যক্তিত্ব। তাই গত ২ বছর ধরে চেষ্টা করার পরে আমার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে, যেখানে অত্তন্ত ৭ লাখ ভোটার; ওই অঞ্চলের ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেড়শত কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছেন। এজন্য নারায়ণগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
সংসদরে স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম ও ২০২২ সালের বাজেট অধিবেশনে শামীম ওসমান কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এসময় জাতীয় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাসহ অন্যন্য সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শামীম ওসমান বলেন, জেলা পরিষদকে সরকার শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়, কিন্তু এই টাকার একটি বৃহত অংশ জনস্বার্থে ব্যবহার হয়না, বরং মুনাফার জন্য ব্যাংকে রাখা হয়। আমার নির্বাচনী এলাকা আর অন্যসব এলাকা সমান না, এটি একটি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল বেল্ট এবং আমার মনে হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা। মাননীয় মন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, যেই টাকা বরাদ দিয়েছেন সেই টাকার যেন উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত হয় সেই দিকে গুরুত্ব দেওয়া হোক। বাকি যে কাজ গুলো আছে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করবেন কিনা এবং বর্ষাকালে এই অঞ্চরের মানুষের কষ্ট লাঘবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা তা জানতে চাই।
সংসদ সদস্য শামীম ওসামানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য আমরা যে প্রকল্প পাশ করে নিয়েছি। এছাড়াও জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার একটি উচ্চ কাঠামোর প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের জন্য পাশ হওয়া আইনটি এই প্রতিষ্ঠানের অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে আরোও বেশি কার্যকর হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে আমি মনে করি। এই প্রতিষ্ঠানের উপরের থেকে নিচের দিকের সকলের সাথে সমন্বয়ের কিছু ঘাটতি ছিল, যা ইতোমধ্যে পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। আমি আশা করি এই নতুন আইনের মধ্যমে নতুন আঙ্গিকে যে জেলা পরিষদ গঠন হয়েছে, তারা আরোও বেশি কাজ করার সুযোগ পাবে এবং আরোও বেশি স্বচ্ছতার সৃষ্টি হবে। তবে অজান্তে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে। এই বিষয়ে অবগত করাতে আমি সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই। সকলের সমন্বয়ে কাজ করলে আগামীতে জেলা পরিষদ অনেক বেশি সক্ষম প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে।