পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসর। করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাণিজ্য মেলার কার্যক্রম চলছে।
এদিকে মেলা শেষ পর্যায়ে থাকায় ঢাকা এবং ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলো থেকে মানুষ ছুটে আসছে বাণিজ্য মেলায়।
শুক্রবার (২৮ ই জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, মেলা শুরু হওয়ার আগেই রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকা থেকে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা । মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায় কেউ কেউ প্রিয়জনকে নিয়ে এসেছেন মেলায়। আবার অনেকেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেলফি তুলছেন, পণ্য কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন প্যাভিলিয়নে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মররত আরিফ মিয়া গাজীপুর থেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন। বাংলানিউজকে বলেন, স্থায়ী মেলাপ্রাঙ্গণটি অনেক সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে ছবি তুলেছি, কিছু কেনাকাটাও করেছি, সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে।
নরসিংদী থেকে আসা সাইদুল হক বলেন, মেলা শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। ভালো লাগছে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি দেখে। এখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হবে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। তবে এখানে স্থায়ীভাবে এই এক্সিবিশন সেন্টারটি তৈরি করায় ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ সবদিকেই জন্য সুবিধা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি নরসিংদী থাকি, সেখান থেকে এখানে আসতে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। এই মেলা শেরেবাংলা নগরে হলে পরিবার নিয়ে আমার মেলায় যেতে কষ্ট হতো। কিন্তু এখানে মেলা হওয়ায় ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ সব এলাকার লোকজনের আসতে সুবিধা হয়েছে।
এছাড়াও ওমিক্রণ ও করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে গেট থেকেই মাক্স ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করে রেখেছে মেলা কমিটি। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না দর্শনার্থীরা। স্টল থেকে শুরু করে খাবারের হোটেলের সামনে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ও স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সকালে দর্শনার্থী কিছুটা কম থাকলেও দুপুরের পর থেকে কানায় কানায় ভরে যায় পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। প্রতিটা দোকানের সামনে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়।