রুদ্রবার্তা২৪.নেট: হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সহিংসতার দু’টি মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবিরের আদালত পুলিশের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের দু’টি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় দুই দিন করে মোট চারদিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২২ আগস্ট রাজধানী ঢাকার মগবাজার থেকে মশিউর রহমান রনিকে আটক করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরে সকালে তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের কথা জানান ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান। তিনি বলেন, মশিউর রহমান রনির বিরুদ্ধে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। ঢাকা থেকে তাকে আটকের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওই থানায় তাকে হেফাজতের সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পরে গত ২২ আগস্ট সরকারি কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগে করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের তিনটি মামলায় মশিউর রহমান রনিকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় দু’টি মামলার শুনানি হয়নি। বাকি একটি মামলার শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত না নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার বাকি দুই মামলায় রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, ‘ছাত্রদল কিংবা তারেক রহমান চিন্তা করলে পুলিশের পোশাক খুলে নেয়া ওয়ান-টু’র ব্যাপার’, ছাত্রদলের এক কর্মসূচিতে এমন বক্তব্য দেওয়ার চারদিনের মাথায় গত ২১ আগস্ট রাতে আটক হন জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনি। গত ১৭ আগস্ট মাসদাইর এলাকায় বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের বাসায় ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের এক কর্মসূচিতে তিনি ওই বক্তব্য রাখেন।
এর আগে ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানকে চ্যালেঞ্জ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর নিখোঁজ হন ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান রনি। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে তার পরিবারের লোকজন। দুইদিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। তাকে একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ১৪১ দিন কারাভোগের পর ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি জামিন পান মশিউর রহমান রনি।