রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকার মা হাসপাতালে এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলেছে পরিবারের লোকজন। অভিযোগের প্রেেিত নবজাতকের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। মা হাসপাতালটি মদনপুরের শ্রমিক নেতা শেখ রুহুল আমিনের মালিকানাধীন। এই হাসপাতালের কোনো অনুমোদন নেই বলে জানিয়েছেন মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এম এ সালাম। তিনি বলেন, অবৈধ এই হাসপাতালে প্রায় সময়ই ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। প্রশাসনকে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি।
ভুক্তভোগী পরিবারের তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চাপাতলী ইটেরপুল এলাকার শাহীন মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে বৃহস্পতিবার সকালে মা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে ভর্তির পর দুপুরে স্বাভাবিকভাবে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের ১০ মিনিট পর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপরে। তবে পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলার কারণে প্রায় আধা ঘন্টা পর তাদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিবারের লোকজনের অভিযোগের প্রেেিত নবজাতকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ রুহুল আমিন ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্দেশ্যে বলেন, ঘটনা ঘটেছে তিপূরন দিতাম। মামলায় গেছে যেহেতু একটি টাকাও দেয়া হবে না। যদি পারে কিছু করতে করবে। আমিও দেখবো। মামলায় জবাব দেয়া হবে। ওদের পরিবারকে কোনো প্রকার সহায়তা করা হবে না।
হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে কথা বলতে রুহুল আমিনের মুঠোফোনের নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। একজন কলটি রিসিভ করে জানান, রুহুল আমিন সেলুনে চুল কাটাচ্ছেন। এখন কথা বলতে পারবেন না।
এদিকে বন্দরের ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, পরিবারের অভিযোগের প্রেেিত নবজাতকের মৃতদেহ ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।