শহরের চাষাড়ায় আলামিন ওরফে দানিয়াল নামে এক যুবকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এসময় শুভ নামে আরো একজন আহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১১ টার দিকে চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আল আমিন ওরফে দানিয়াল (২৮) ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় দেলোয়ার মিয়ার ছেলে। আর আহত শুভ (২২) একই এলাকার শাহজালালের পুত্র। তাদের মধ্য দানিয়াল অটোরিকশা গ্যারেজের ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলো আর শুভ একটি কারখানার মেশিন অপারেটর।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছেন স্বজনরা। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মাসদাইর এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি রমুকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সোয়া এগারোটার দিকে নগরীর চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় প্রকাশ্যে ওই দুই যুবককে কুপিয়ে আহত করে কয়েকজন যুবক। পরে তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
এরপর ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় আহতদের বাড়ির সামনে নিয়ে তাদের আবার আঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শুভকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
হাসপাতালে নিহতের মরদেহ নিয়ে আহাজারি করছিলেন তার মা মুক্তা বেগম। এসময় তিনি বলেন, দানিয়ালকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে স্থানীয় অনিকদের বিরোধ চলছিলো। যারা যারা আমার ছেলে হত্যা করেছে তাদের শাস্তি চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসলিম আহমেদ জানান, বেশ কিছুদিন আগে ওই এলাকার রমুর নাতি হিবেবে পরিচিত অনিকও তার লোকজনের সঙ্গে নিহতের মারামারি ঘটনা ঘটে।
এরমধ্যে রমু ওই এলাকায়র শীর্ষ মাদক কারবারি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়র তার সঙ্গে বিরোধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে দানিয়ালের উপর হামলা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে রমুকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত অপর যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।