প্রত্যেকের বয়স ১৭ থেকে ১৮। অথচ, এক কিশোরকে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলছেন, ‘বাংলাদেশের আইনে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সবাই শিশু। সেই শিশুকে খুন করে অন্য শিশুরা এখন খুনি।’
গত ৩১ জুলাই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের চাঁনমারী এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ১৬ বছর বয়সী সজিবকে। পরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত সজিবের বাবা কামাল হোসেন বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরেন। পরে আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা গ্রহণ করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়
তাছাড়া সোমবার দুপুরে আরো পাঁচজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলেও তিনি জানান।।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সিয়াম (১৮), সাব্বির (১৮), তৈয়ব(১৮), রাহাত (১৮), লিংকন চন্দ্র দাস (১৮), নাজমুল (১৮) ও রাকিব (২০)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার হাজীগঞ্জ ফাড়ির ইনচার্জ বিপ্লব কুমার চৌধুরী জানায়, আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হয় সজিব।
নিহত সজিবের বাবা জানান, সন্ধ্যার দিকে বাড়ীর সামনের খেলার মাঠ থেকে তৈয়ব তার পুত্র সজিবকে ডেকে নিয়ে যায় চানমারী নীট হাউজের সামনে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তার পুত্রকে অভিযুক্ত আসামীরা এলোপাতাড়ি ভাবে ছুরিকাঘাত করে। তার ছেলের ডাক চিৎকারে নিহত সজিবের বন্ধু রিফাত এগিয়ে গেলে তাকে ও আসামীরা ছুরিকাঘাত করে। এ সময় সজিব ও রিফাতের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে তাদেরকে পথচারীরা শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রাত ৮টার দিকে সজিবকে মৃত ঘোষনা করে। এবং রিফাত কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, নিহত সজিব শহরের চাষাড়া রামবাবুর পুকুর পাড় ছোট মসজিদ সংলগ্ন বাবুল মিয়ার ভাড়াটিয়া ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের ছেলে। ৩১ জুলাই রাত সাড়ে সাতটার দিকে ছুরিকাঘাত করা হয় সজিব (১৬) ও তার বন্ধু রিফাতকে (১৭)কে। এ ঘটনায় নিহত হয় সজিব ও আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রিফাত।