ছুরিকাঘাতে ১৬ বছর বয়সী সজিব নিহতের ঘটনার আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ নিয়ে ২২ ঘন্টার মধ্যে মামলার এজাহারনামীয় ১০ আসামী গ্রেপ্তার করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হয় সজিব। সোমবার দুপুরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যেই মামলার প্রধান আসামীসহ এজাহার নামীয় দশ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন এজাহার নামীয় প্রধান আসামী বিপ্লব, নাজমুল ও রাকিব। তাদেরকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়। আর সিয়াম, সাব্বির, তৈয়ব, রাহাত, লিংকন চন্দ্র দাস, নাজমুল ও হৃদয় ওরফে রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয় রোববার রাতে। তাদের সকলেই বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ জানান, ‘তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষটি স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাতজনকে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর তিনজনকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে। মামলার অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাছাড়া সন্দেহজনক হিসেবে দু‘জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে।’
গত ৩১ জুলাই রাতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে চাঁনমারি এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন ১৬ বছর বয়সী সজিব। আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তার বন্ধু রিফাত।
নিহত সজিবের বাবা জানান, সন্ধ্যার দিকে বাড়ীর সামনের খেলার মাঠ থেকে তৈয়ব নামের অভিযুক্ত ছেলেটি সজিবকে ডেকে নিয়ে যায় চানমারী নীট হাউজের সামনে। সেখানে নিয়ে অভিযুক্ত আসামীরা এলোপাতাড়ি ভাবে ছুরিকাঘাত করে। এসময় তার ছেলের ডাক চিৎকারে নিহত সজিবের বন্ধু রিফাত এগিয়ে গেলে তাকেও আসামীরা ছুরিকাঘাত করে। সজিব ও রিফাতের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে তাদেরকে পথচারীরা শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজিবকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া রিফাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ জনকে আসামী করে মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সজিবের বাবা।