গোপালগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গাড়িবহরে হামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার (৪৮) নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রী ও গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী রওশন আরা রত্নাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর ১৬ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে এবং তিনজনকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিক উজ জামান বলেন, বেলা ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রামে পথসভা শেষে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া জনসভায় যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। গাড়িবহরটি ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সশস্ত্র নেতা-কর্মীরা ভাঙচুর চালান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বলেছে, হামলার পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশের গাছ থেকে ডালপালা ভেঙে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেয়। কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবারও হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে অন্তত ২০ জনকে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুরুতর আহত এস এম জিলানীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহত হয়েছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরপাথালিয়া এলাকা থেকে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।