নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর হোসেনের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাশেম সম্রাট নামের আকে ব্যক্তি। একই সাথে ৫ থেকে ১০ জনের বাহিনী নিয়ে গাড়ি আটকিয়ে চাদাঁ চাওয়ার অভিযোগ তুলেন। বুধবার দুপুরে গোগনগর কাটপট্রি এলাকায় তার নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করে।
এসময় অভিযোগ করে সম্রাট বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ আমরা প্রিমিয়াম সিমেন্ট কোম্পানি থেকে ওয়েস্টেজ মালা নামিয়ে অন্যত্রে বিক্রি করি। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ১১ টা ৪৩ মিনিটে আমরা মাল নামতে গেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসে আমাকে বলে টাকা দিলে গাড়ি যেতে পারবে। আমি তখন তাকে বলি আপনাকে কিসের টাকা দিবো। তখন তিনি বলে এই মালা মাল বিক্রির যা টাকা আসবে তার ৬০% টাকা দিতে হবে। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তার চাদাঁবাজ বাহিনীর গ্যাং মুকবুল আমাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি যদি এই ভাবে এসে চাদাঁ দাবী করে তাহলে আমরা কার কাছে সেবা চাইবো। এসময় নুর হোসেনের সাথে তার ভাই মুকবুল, গোগনগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জুলহাস সরদার, জাপা নেতা আকরাম আলীর সহযোগি মামুন, ইয়াছিন। তার বিরুদ্ধে আমরা পুলিশকে অবহিত করেছি। তারা তদন্ত করে বিষয়টি দখেবে।
রানা আহম্মেদ বলেন, আমাদের প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান নওশেদ আলী মারা যাওয়ার পর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর হোসেন সওদাগর আমার কাছে বিভিন্ন ভাবে টাকা চয়া। আমি বালু ভরাট করার সময় আমার কাছে ৭০ হাজার টাকা চাদাঁ চায়। পরে আমি ৫০ হাজার টাকা দেয়। পযায় ক্রমে দিন যায় আর তার চাহিদা বারতে থাকে। সেই সাথে আমাকে বলে এখানে ব্যবসা করতে হলে তাকে চাঁদা দিয়ে করতে হবে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে গালাগালি করে এবং হুমকি দেয়।
এবিষয়ে গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
জুলহাম মেম্বার জানান, তারা যদি এই ধরনের অভিযোগ করে থাকে প্রশান তা যাচাই বাচাই করবে। এখানে নুর হোসেন চেয়ারম্যান সহ আরো অনেক লোক ছিল।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ জামান জানান, আমি আজকে মিটিংয়ে ছিলাম। খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চান বাদশা, মো. সোহেল, আবু তাহের রাজু।