১০ অক্টোবরের মধ্যে লেমকন ডিজাইন,ক্রোনী-অবন্তী সহ সকল গার্মেন্টস এর বকেয়া মজুরি পরিষদ ও ত্রি-পক্ষীয় ১৮ দফা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে অনশন ধর্মঘট পালন করা হযেছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় শহরের চাষাড়া বিকেএমইএ ভবনের সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য সংসদ এ অনশন ধর্মঘট পালন করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য সংসদ’ এর ব্যানারে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে এই অনশন ধর্মঘট পালিত হয়। এর আগে, নগরীর চাষাঢ়া শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বিকেএমইএ কার্যালয়ে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা।
এসময় দাবি মানা না হলে রাস্তায় নেমে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন শ্রমিকরা। তারা জানান, ১০ অক্টোবরের মধ্যে নেমকন ডিজাইন, ক্রোনী-অবন্তি সহ সকল গার্মেন্টস এর বকেয়া মজুরী পরিশোধ ও ত্রি-পক্ষীয় ১৮ দফা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা এখানে অনশন ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের কয়েক মাসের বেতন দিচ্ছেনা মালিকরা। বেতন চাইলে হুমকি ধামকি দেয় তারা। এভাবে তো চলে না। আমাদের ঘরে খাদ্য নাই। আমাদের মজুরী পরিশোধ না করলে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।
শ্রমিক নেতা গোলক এ সময় বলেন, নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি গার্মেন্টস থেকে শ্রমিকরা বিগত কয়েক মাস ধরে যাবৎ বেতন পাচ্ছে না। যার কারণে তারা দুঃখে কষ্টে জীবন যাপন করছেন। বিকেএমইএ, জেলা প্রশাসক, কল কারখানা অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। প্রত্যেকেই একের পর এক বেতন পরিশোধের তারিখ দিচ্ছে কিন্তু পরিশোধের কোন হদিস নেই।
তিনি আরোও বলেন, বিকেএমইএ ১৮ দফা দাবির যে চুক্তি নামা হয়েছে তারা বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপই নিচ্ছে না। শ্রমিকদের দাবির প্রতি এখন তারা কোন লক্ষ্য দিচ্ছে না। এতে করে আমাদের শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। আজকে বিকেএমইএ অফিস ঘেরাও করেছে এখন যে কোন সময় তারা রাস্তায় নেমে যাবে। এর জন্য বিকেএমইএ দায়ী থাকবে। কারন বিকেএমইএ মালিকদের নিয়ন্ত্রন করতে পারচ্ছেএবিষয়ে বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, ক্রোনী-অবন্তি গার্মেন্টস ১০ তারিখে বেতন দিবে, সেটা আগেই ঘোষণা দিয়েছে। এটা নিয়ে ডিসি কাজ করছে, আমরা কাজ করছি। এসব সমাধানে বিকেএমইএ কোন চেষ্টা করেনি, অভিযোগটি একেবারেই অসত্য। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি নিয়ে বিকেএমইএ কথা বলেনি, এরকম কখনোই হয়নি। তাহলে এখানে লোকবল নিয়ে এসে মিছিল-মিটিং কেনো। মিছিল মিটিং করলেই কি ১৫ তারিখের আগে দিতে পারবে। জুলাই মাসে আন্দোলন গেলো, বন্যা গেলো, শ্রম অসন্তোষের কারণে রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণেই মালিক যখন কোন যৌক্তিক সময় চায়, সেটা তাকে দিতে হয়। আমরা অনেক আগে থেকেই সরকারের কাছে বলে আসছি, অনেক মালিক বেতন দিতে পারছে না; তাদের জন্য একটি সফ্ট লোনের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু সফ্ট লোনের জায়গায় বাংলাদেশ ব্যংক যে ব্যবস্থা করেছে, এটা তেলে মাথায় তেল দেওয়ার অবস্থা। তারা বলেছে মে, জুন, জুলাইয়ের বেতন যারা দিয়েছে, আগস্টের বেতনের জন্য তারা আবেদন করতে পারবে। আমরা বলেছি যে মে, জুন, জুলাইয়ের বেতন দিতে পারবে; সে আগস্টের বেতনও দিতে পারবে। কিন্তু যে পারে নাই মে বা জুনের বেতন দিতে, তার প্রয়োজন ওই লোন। আবার বলেছে যার ওভার ডিউ আছে তাকে লোন দিবে না। আরে যার ওভার ডিউ আছে এ কারণেই তো সে বেতন দিতে পারছে না। তার মানে তাদেরকে লোন দেওয়ার ব্যবস্থা রাখে নাই। না এবং শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে না।