সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ অপরাহ্ন

গার্মেন্টস্ কর্মকর্তাকে আটকে রেখে মুক্তিপন দাবী, গ্রেফতার ১

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৮ মে, ২০২২, ৩.৪৪ এএম
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

ফতুল্লায় এক লাখ টাকা মুক্তিপন আদায়ে গার্মেন্টস্ কর্মকর্তা কে আটকে রাখার ঘটনায় অপহৃত গার্মেন্টস কর্মকর্তা কে উদ্ধারসহ মুক্তিপন আদায়কারী চক্রের এক সদস্য কে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।

গত ১৫ মে গার্মেন্টস কর্মকর্তা মুক্তিপন আদায়ে আটক করা হলেও সোমবার (১৬ মে) বিকেলে তাকে ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় অপহৃত গার্মেন্টস কর্মকর্তার শ্বশুড় মোঃ আবুল কালাম খান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অপহৃত গার্মেন্টস্ কর্মকর্তা হাসান খান(২৫) ফতুল্লা থানার মাসদাইর ছোট কবরস্থানের সামছুল হকের ভাড়াটিয়া মজিবর খানের পুত্র ও শাসনগাও বিসিকস্থ ট্রায়কট ফ্যশন গার্মেন্টস নামক একটি পোষাক তৈরি কারখানার কোয়ালিটি সুপাইভাইজার হিসেবে কর্মরত রয়েছে।

মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, ফতুল্লার বিসিকে ট্রায়কট ফ্যশন গার্মেন্টস নামক একটি পোষাক তৈরি কারখানায় কোয়ালিটি সুপার ভাইজার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। প্রতিদিনের মতো রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মাসদাইরস্থ ভাড়া বাসা থেকে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়। প্রতিদিনের মতো রাত দশটার দিকে বাসায় ফিরে আসার কথা থাকলে ও সময় মতো বাসায় না আসায় বাদীর মেয়ে অপহৃত গার্মেন্টস কর্মকর্তা কে ফোন করলে অভিযুক্তরা ফোন রিসিভ করে জানায় যে,তার স্বামীকে আটকে রাখা হয়েছে। এক লাখ প্রদান করা হলে অপহৃত কে মুক্তি দিবে। মুক্তিপণ আাদায়কারী চক্র ফোন করে অপহৃতের স্ত্রী কে মুক্তিপণ দাবীর পাশাপাশি অপহৃত কে মারধর করে তার চিৎকার শোনাতো। সোমবার বিষয়টি বাদী ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ কে অবহিত করলে পুলিশ কৌশল অবলম্বন করে মুসলিমনগরস্থ আমাজাদের রিক্সার গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে অপহৃত গার্মেন্টস কর্মকর্তা কে উদ্ধার সহ মুক্তিপন আদায়কারী চক্রের মাফিন (২২) কে আটক করতে সক্ষম পুলিশ।আটককৃত মাহিম ফতুল্লা মডেল থানার মুসলিমনর মরা খাল পাড়ের হাবিবিল্লাহর পুত্র।

তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় মুক্তিপন আদায়কারী চক্রের একরামুল,টুটুল, মোস্তফা,হাসান,হৃদয় সহ অজ্ঞাত নামা আরো দুই তিনজন। মামলায় আরো উল্লেখ্য করা হয় রোববার রাত নয়টার দিকে ছুটি হলে নিজ কর্মস্থল থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথে আটককৃত মাহিন ও একারামুল অপহৃত গার্মেন্টস্ কর্মকর্তা কে প্রথমে মুসলিমনগরস্থ আসাদুল্লাহ মাস্টারের কোচিং সেন্টারে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক হারেছ শিকদার জানায়, সোমবার দুপুরে অপহৃত গার্মেন্টস কর্মকর্তা কে অপহরনের বিষয়টি প্রথমে জানতে পেরে পুলিশ তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তি ও নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বেলা চারটার দিকে মুসলিমনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত কে উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় মূল হোতা মাফিন কে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।জড়িত অপর সকল আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort