অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে গাজীপুর সিটির জন্য তিন সদস্যের প্যানেল মেয়র গঠন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে দাখিল হয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তা তদন্তের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।
‘যেহেতু আইন অনুযায়ী কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, বিশেষকরে মেয়রের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ আসে এবং সে অভিযোগ তদন্ত বা নিষ্পত্তির জন্য আমলে নেওয়া হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নিয়ম আছে। আইনে এরকম বাধ্যবাধকতা আছে। সে কারণে গাজীপুরের বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো কী কী- জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। কোথাও অবৈধভাবে জায়গা দখল করা, কোথাও জনগণের স্বার্থপরিপন্থী কাজ করা এবং কোথাও ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জোর-জবরদস্তি করা- এ সব অভিযোগ আছে।
আইন অনুযায়ীই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেখানে মেয়রদের প্যানেল গঠন করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠতায় এক নম্বরে যিনি আছেন তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মেয়রের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে কেন্দ্র করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত করে যেগুলো পাবো, সে অনুযায়ী তাকে শোকজ করা হবে।
সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যদি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে।
গত ১৯ নভেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদসহ দল থেকে আজীবনের জন্য জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করা হয়। তার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডলকে।