রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বুধবার রাতে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। আতঙ্কগ্রস্থ ছিলো পুরো রাজধানীবাসী। নির্ঘুম রাত পার করেছেন অনেকে। ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরে প্রতিরোধে রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন এলাকায় পাহারা বসিয়ে অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরও করেছে ছাত্র-জনতা। তবে এই সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বুধবার (৭ জুলাই) রাতে রাজধানীর ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে ডাকাতির চেষ্টাকালে বেশ কয়েকজনকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরবর্তীতে তাদের সেনাবাহিনীর টহল দলের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বসিলা এলাকায়ও একই অবস্থা। কিশোর বয়সী কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, উত্তরা, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার চিত্রও প্রায় কাছাকাছি। ডাকাতির চেষ্টাকালে আগ্নেয়াস্ত্র আটকের ঘটনাও ঘটেছে এ রাতে।
এ সংক্রান্ত বেশকিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, এসব এলাকায় ডাকাতি হচ্ছে।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার হয়। পাশাপাশি রাজধানীর অনেক এলাকায় রাতভর পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক ছাত্র-জনতা টহল দিয়েছে। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তল্লাশি চালানো হয়।
‘আমরা সাভারবাসী’ নামক ফেসবুক গ্রুপে দেখা যায়, সোনাদের হাতে আটক একজনকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইসিবি চত্বরে দুজনকে ও মোহাম্মদপুরের বসিলায় কয়েকজনকে গণপিটুনি দিয়ে বেধে রেখেছে এলাকাবাসী।
এদিকে, আইএসপিআর থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জান-মাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।