নিজস্ব প্রতিবেদক : বিগত ১৬ বছর আওয়ামী স্বৈরশাসকদের দোসর হিসেবে থাকলেও খোলস পাল্টেছে মুরাদ হোসেন। যিনি ছিলেন একসময়কার পরিবহন মাফিয়ার ডন এবং আলোচিত ৭খুন মামলার আসামী নুর হোসেনের ক্যাশিয়ার। তবে ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পালিয়ে বেড়াচ্ছে আওয়ামী দলীয় সকল নেতাকর্মীরা। অনেকের ব্যবসা এখন বন্ধ কিংবা দখলে নিয়েছে অন্যরা। সেখানে বিএনপি দলীয় নেতাদের সাথে সখ্যতা করে এখনো বন্ধু পরিবহনে বহাল তবিয়তে রয়েছেন স্বৈরশাসকদের দোসর মুরাদ হোসেন।
সূত্রে জানা গেছে, একসময় হেলপার হিসেবে কাজ করতেন এই মুরাদ হোসেন। কোনো একমাধ্যমে নসিব পরিবহনের ক্যাশিয়ার হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। সেখান থেকেই সে খুনি নুর হোসেনের ক্যাশিয়ার হওয়ার সুযোগ পান। আর এতেই বদলে যায় মুরাদের জীবন। শুরু হয় নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারকদের সাথে তার সখ্যতা। যেখানে সাবেক এমপি সেলিম ওসমান, শামীম ওসমান থেকে শুরু করে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দনশীল, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেনসহ অঙ্গসংগঠনের অনেকের সাথেই তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে। যার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রভাব বিস্তার করতে থাকতো এই মুরাদ হোসেন। তার প্রভাবের কারণে অনেকেই ছিল অতিষ্ট। দিন দিন পরিবহন সেক্টরে দখল দারিত্ব করতে থাকা এই মুরাদ পরিবহনে চালায় রামরাজত্ব।
আরো জানা গেছে, সম্প্রতি দেওভোগ এলাকার এক বিএনপি নেতার নামে তিনি এখন দুধে ধোয়া তুলশী পাতা রূপ নিয়েছেন। আর সেই নেতার ছত্রছায়ায় তিনি এখনো বন্ধু পরিবহনে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অথচ যেখানে এই পরিবহনটির অনেক মালিক ও সাবেক এমপি শামীম ওসমানের সহযোগীরাও রয়েছে পলাতক। বরং এই মুরাদ হোসেনের মাধ্যমে সেই স্বৈরশাসকদের পকেট ভারি করার অপচেষ্টা চলছে বলে অনেক পরিবহন মালিকরা অভিযোগও তোলেছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মুরাদ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমি ব্যবসা করি। তাই সবার সাথেই আমার উঠাবসা আছে, থাকবেই। কিছু কুচক্রিমহল আমার পিছু লেগেছে তারা এসব মিথ্যা ছড়াচ্ছে। তবে আমার বাস রয়েছে আমরা ব্যবসা করে খাই। সেক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের সাথে ছবি ছিল।