শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ অপরাহ্ন

‘খালেদা জিয়ার টার্গেট সবসময় আমি’

  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১, ৩.১৯ এএম
  • ৪১৮ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তুলেছেন, বিএনপিকে কোন আশায় মানুষ ভোট দেবে? পলাতক আসামি যে দল চালায় জনগণ তাদেরকে কি আশায় ভোট দেবে?

শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্বকালে দেওয়া প্রারম্ভিক বক্তব্যে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা দেশের গরিবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিদেশে বসে আরাম-আয়েশে আছে। তাদের এই আয়ের উৎস কী?

তিনি দেশের সুবিধাভোগী স্বার্থান্বেষী মহলের সমালোচনা করে বলেন, কিছু মানুষ আছে যারা হাজার অপরাধকারীকেও অপরাধী হিসেবে দেখে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও তারা দুর্নীতির জন্য সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ নেয়। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের জন্যই তারা মায়াকান্না করছে।

‘খালেদা জিয়ার টার্গেট সবসময় আমি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিল যে, আমি প্রধানমন্ত্রী কেন বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারব না, শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারব না। এসব ঘোষণার পরই গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।’

তারপর বোমা পোতা হলো কোটালিপাড়ায়। এরপর তার বক্তব্য আওয়ামী লীগ শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এরপর গ্রেনেড হামলা হলো। আমার মনে হয় এই কথাগুলো আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর অত্যাচার করেছে। আমাদের মিটিং করতে দেয়নি। একজন আমাকে শুধু হাত দেখিয়েছিল বলে তার দাড়ি টেনে টেনে তুলেছিল। আমাদের বহু নেতাকর্মীর হাতের কব্জি কেটে দিয়েছিল। পা কেটে দিয়েছিল। চোখ তুলে ফেলা হয়েছিল। বাড়িঘর দখল করে। তাদের অত্যাচারে আমাদের ২০ হাজার নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করে। তারা আওয়ামী লীগের নাম নিশানাও মুখে ফেলার চেষ্টা করেছিল।

বিভিন্ন সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতার আসার পরে তার যে অত্যাচার, আমরা আওয়ামী লীগ অফিসে পর্যন্ত বসতে পারতাম না, যেতে পারতাম না, ঢুকতে পারতাম না। আমাদের সিআরআই বন্ধ করে দিয়ে ১৬টি কম্পিউটার, তিনশ ফাইল, দশ হাজার বই, নগদ টাকা পয়সা সবকিছু নিয়ে যায় এবং সেখানে তালা দিয়ে যায়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে আবার সেই অফিসটা আমরা খুলতে পারি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ লক্ষচ্যুত হয়েছিল। পঁচাত্তরের পরে দেশে ১৯টা সামরিক ক্যু হয়। এর ফলে সামরিক বাহিনীর অনেক সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কোর্ট মার্শাল হয়েছে, ফায়ারিং স্কোয়াড হয়েছে এবং ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেও বহু স্বজনহারা মানুষ একত্রিত হয়ে তাদের স্বজন হত্যার বিচার চেয়েছে। তারা লাশও খুঁজে পায়নি। লাশও গুম করে দেওয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই এই ঘটনাগুলো ঘটায়। কাজেই তাদের সেই দাবির একটা তদন্ত হোক। কেন তারা স্বজনদের লাশগুলো পেল না।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি এবং রেহেনা দেশে আসতে পারিনি। আমাদের রিফিউজির মতো থাকতে হয়েছে। ১৯৮১ সালে যখন আমাকে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত করা হয়, তখন অনেক বাধা ছিল। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দেশে ফিরে আসব। এরপর আমি চেষ্টা করেছিলাম সংগঠনগুলো গড়ে তোলার। এ সময় পঁচাত্তরপরবর্তী বিভিন্ন সময়ে জাতির পিতার খুনিদের বিচার না করে তাদের পুরস্কৃত করা ও বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়া, নির্বাচনী প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়া এবং সংসদে বসার সুযোগ করে দেওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort