‘শেখ হাসিনারা কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসেনি। তাই তারা যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই গুম, খুন, হামলা, মামলার কৌশল ব্যবহার করে। কারণ ক্ষমায় এসেই তারা পথের কাটা পরিষ্কার করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। আর বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে গণতান্ত্রিক উপায় মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে।’
দেশব্যাপী ‘আওয়ামী সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি’র প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এসে শনিবার (১৪ মে) দুপুর ২টায় এ কথা বলেন ব্যারিষ্টার মো: শাহ্জাহান ওমর বীর উত্তম।
নগরীর চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রবি হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার মো: শাহ্জাহান ওমর বীর উত্তম, প্রধানবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু।
মো: শাহ্জাহান ওমর বীর উত্তম আরও বলেন, যারা টাকা পাচার করছে তারা সব শেখ হাসিনার আত্মীয়। তারা কানাডায় বেগমগঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেছে, এছাড়াও বিভিন্ন দেশে বাড়ী ঘর কিনে রেখেছে। ক্ষমাচুত্য হলেই তারা সেখানে পারিজমাবে। শেখ হাসিনা নিজেই নিজের দলকে কন্টোল করতে পারে না। আওয়ামী লীগ এখন আওয়ামী লীগের শত্রু। বেশি দিন দূরে নাই সকল কিছুর হিসাব আপনাদের দিতে হবে। কেউ পার পাবেন না।
প্রধানবক্তা হিসেবে এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ৭১ থেকে ৭৫ সালে যেভাবে এ দেশের মানুষকে শোষন করা হয়েছে। ঠিক এই ভাবে দেশের মানুষকে শোষন করা হচ্ছে। এই সরকার জানে এই দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে হলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখতে হবে। তাই মিথ্যা মামলা দিয়ে আপোষহীন নেত্রীকে বন্দি করা হয়েছে। এর জবাব এই দেশের মাটিতেই দিতে হবে সেই দিন বেশি দুরে নয়। কারণ এটা লাখ শহীদের রক্তের বিনিময় গড়া দেশ আর যার জন্ম না হলে এ দেশে স্বাধীন হতো না তিনি হলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তার উত্তসূরি হিসেবে দেশের জনগণকে নিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আবার একটি যুদ্ধ করবো।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেলের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন, ফখরুল ইসলাম মজনু, আতাউর রহমান মুকুল, হাজী নুরু উদ্দিন, মনিরুজ্জামান মনির, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, মহানগর বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু,মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, জেলা যুবদলের আহবায়ক খোকন, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাহাদাত হোসেন সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন প্রমুখ।