মহাসড়কে শৃঙ্খলা আনয়নে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা। শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে থানা প্রঙ্গনে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) এম এম আবুল কাশেম আজাদ এর সভাপতিত্বে এবং টি আই মো. ইব্রাহিম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আব্দুল কাদের জিলানী।
গাজীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমারা বাঙ্গলী জাতি নয় মাসের যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। আমারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের নেতৃত্ব এই বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। তারই সুযোগ্য কন্যা নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নের পথ ধরে হাটছি। এই কথা সবাই স্বীকার করবেন। আমি হাইওয়ে পুলিশে দীর্ঘদিন কাজ করতেছি। আপনাদের দুঃখ দুর্দশা আমি জানি। কাজেই আপনাদের মুখ থেকে শুনে বুঝার নাই। আমরা জন্মের পর থেকে দেখে আসছি। অন্য অন্য দেশের দিক থেকে অমরা উন্নয়নে পথে আনেক দূর এগিয়ে গেছি। তাই কোন পেশাকে ছোট করে দেখার অবকাশ নাই। আপনারা যারা থ্রি-হুইলার চালান তারা জাতীয় মহসড়ক বাদ দিয়ে চালাবেন। আপনারা শাখা রোড, উপজেলা রোড, জেলা রোড, ভিতরের রোড দিয়ে চালান আমাদের কোন আপত্তি নাই।
তিনি আরও বলেন, আপনারা হয়তো জানেন না আপনাদের দিয়ে আমাদের ৮% জিডিপি। তাই আপনারা আমাদের দেশের উন্নয়নের একটি সৈনিক। আপনারা উন্নয়নের বড় একটা হাতিয়ার। আমাদের সকলের সহযোগীতাই দেশ অনেক উন্নয়নের দিকে চলে গেছে। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। আপনারা সার্ভিস রোড দিয়ে চলাচলা করতে পারবেন, আমাদের কোন সমস্যা নাই। আপনারা যারা থ্রি-হুইলার চালান অপনাদের নিজস্ব কোন নিয়ন্ত্রন নাই। তাই মহাসড়কে ঘটছে দূর্ঘটনা। ঢাকা-চট্টগ্রাম অন্যতম রোড দেশের এক নাম্বর হাইওয়ে মহাসড়ক। আর এই রাস্তাই যদি থ্রি-হুইলার চলে তা হলে অবস্থা কেমন হবে। আপনার উপজেলা রাস্তায় চলচল করেন। আগে মানুষ রাস্তা জন্য অনেক কষ্ট করেছে। এখন আর করে না।
তিনি বলেন, ২২ টি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে না। এর মধ্য ঢাকা-চট্রগ্রাম-সিলেট রোড আছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম-সিলেট ভূলতা, মেঘনা এই দিকে কোন থ্রি-হুইলার চলাচল করতে পারবেন না। মহামান্য হাইকোর্ট এবং সেতেু মন্ত্রনালয় কঠোর ভাবে নির্দেশনা আছে।এই তিন টি রোড বাদ দিয়ে চলাচল করতে পারবেন। থ্রি-হুইলার চালকদের কোন হয়রানি করা যাবে না। আপনার দোয়া করেন আমাদের দেশ উন্নয় হউক। সবাই সহযোগিতা করবেন এই প্রত্যাশা করছি।
শিমরাইল ক্যাম্প (ইনচার্জ) টি আই শরফুউদ্দিন বলেন, আমরা হাইওয়ে পুলিশ মানুষকে সেবা দিতে আসছি। আামাদের কিছু নিয়ম কানুন আছে এর ভিতরে থাকতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম একটি লাইফ লাইন মহাসড়ক। আমরা হাইওয়ে পুলিশ আপনারাদের সেবা দিতে চাই। হাইওয়ে পুলিশ সর্বক্ষন আপনাদের সেবাই নিয়োজিত থাকে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ৮১ কিলোমিটার হাইওয়ে মহাসড়ক আছে এর ভিতরে ৩৫ টি কাটা বা ইউটার্ন রয়েছে। এই অঞ্চলটি শিল্প কারখানা এলাকা। ৬০ পারসেন্ট শ্রমজীবি মানুষ কাজ করে। আপনারা দেখেছেন গত নভেম্বর মাসে উলটো পথে এসে পাচ জন মারা গিয়াছিল। তাই সাবধানে চলাফেরা করবেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই একেএম শরফুদ্দিন, ভুলতা ক্যাম্পের ইনচার্জ ফারুক হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক ও বিভিন্ন পরিবহন নেতা ও শ্রমিকবৃন্দ প্রমূখ।