ফতুল্লায় বাড়ীর কেয়ার টেকার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চুরি যাওয়া টাকার মালিক পশ্চিম মাসদাইরের প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন সরদার বাড়ীর নাসির উদ্দিন কন্ট্রাকটারের ছেলে রাজ্জাক (৪৪) বাদী ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার(২৫ জুন) রাতে মাসদাইর এলাকায় স্থানীয়বাসীর সহায়তায় অভিযুক্ত কেয়ার টেকারের স্ত্রী জাহিদা বেগম(৩০) কে আটক করে পুলিশ। তবে চুরি যাওয়া টাকা এবং মূলহোতা বাড়ীর কেয়াট টেকার আব্দুর রহিম শিপন(৩৫) কে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত মূলহোতা বাড়ীর কেয়াট টেকার আব্দুর রহিম শিপন(৩৫) সুনামগঞ্জ ছাতক থানা নরাই বাজারের আসাদ আলীর ছেলে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, বাদীর রাজ্জাকের অনুপস্থিতিতে চলতি মাসের ২৩ তারিখ দুপুর ১টায় অভিযুক্ত কেয়ার টেকার রহিম শিপন রাজ্জাকের স্ত্রীর কাছে গিয়ে বলে যে, চতূর্থ তলার ফ্ল্যাটের চাবি রাজ্জাক দিতে বলেছে। রাজ্জাকের স্ত্রী তা বিশ্বাস করে চাবি দিয়ে দেয়। চাবি নিয়ে ফ্ল্যাটের ভিতর প্রবেশ করে আলমারীর ভিতরে রাখা ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে দ্রুত চাবি বুজিয়ে দিয়ে চলে যায়। রাজ্জাক বাসায় ফিরে এলে স্ত্রী রাজ্জাককে প্রশ্ন করে চতুর্থ তলার চাবি কেনো নেওয়া হয়েছিলো। এমন প্রশ্নে রাজ্জাক চাবি নেওয়ার কথা অস্বীকার করে। বিষয়টি সন্দেহ হলে সাথে সাথে চতুর্থ তলায় গিয়ে দেখে বাইরের তালা ঠিকই আছে কিন্ত ভিতরে আলমারী দরজা ভাঙ্গা। সাথে সাথে বাদী ছুটে যায় অভিযুক্ত কেয়ার টেকারের বাসায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় অভিযুক্তদের ঘর তালাবদ্ধ। পরে শনিবার সন্ধ্যায় কেয়ার টেকারের স্ত্রী গোপনে তাদের বাসার মালপত্র নিয়ে অনত্র চলে যাবার সময় তাকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তবে আটক করা সম্ভব হয়নি মূল হোতা আব্দুর রহিম শিপনকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক ইমানুর জানায়, চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার সহ মূলহোতা কেয়ারটেকার আব্দুর রহিম শিপন কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।