শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ অপরাহ্ন

কুমিল্লায় সহযোগীসহ কাউন্সিলরকে হত্যা, ৯ গুলিতে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ৬.৫৪ এএম
  • ৪৪২ বার পড়া হয়েছে

এলোপাতাড়ি ৯টি গুলি চালিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলের (৫০) মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল ঘাতকরা। এর মধ্যে হামলাকারীদের পিস্তলের দুটি গুলি সোহেলের মাথায়, দুটি বুকে, অন্য পাঁচটি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে।

সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে এ গুলির ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন সোহেলের সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাও (৫৫)। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তার বুকে ও পেটে গুলি লেগেছিল। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরো অন্তত ৬ জন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনার পর ওই ওয়ার্ডের সুজানগর, পাথুরিয়াপাড়া, বউ বাজা ও পাশের সংরাইশ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন বলেন, কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা আমাদের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন। কাউন্সিলর সোহেলের শরীরে ৯টি গুলি লেগেছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারিনি। দুজনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যরা। পাশাপাশি অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে কাউন্সিলর সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদেরকে নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। এ সময় ৪টি মোটরসাইকেল করে আসা অন্তত ১০ জন কালো মুখোশধারী সন্ত্রাসী ওই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে গুলিবিদ্ধ সোহেল সঙ্গে সঙ্গেই নিজের চেয়ার থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির আওয়াজে আশপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা সীমান্তবর্তী বউবাজার এলাকার দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলরসহ আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ওই দুজনের মৃত্যু হয়।

হামলায় গুলিবিদ্ধ জুয়েল মিয়া বলেন, আওয়াজ শুনে রাস্তায় বের হয়ে দেখি সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছেন। এ সময় আমার পায়ে গুলি লাগে। তারপর কী হয়েছে বলতে পারছি না।

এদিকে, সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে স্থানীয়রা ধারণা করছেন বালু ব্যবসা, মাদক, ঠিকাদারি ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ওই কাউন্সিলরকে হত্যা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort