আড়াইহাজারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেনীর কিশোরী(১৭)কে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২১ জুন) ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় বুধবার (২২ জুন) সকালে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ধর্ষণের অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম, অপু (২২)। সে উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে এবং সাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ধর্ষিতা (১৭) নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে। পুরিন্দা এলাকায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা অপু মেয়েটিকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। অপুর ধারাবাহিক প্রেমের প্রস্তাবে মেয়েটি তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। অপু বিভিন্নস্থানে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিগত ১০ মে সকাল সাড়ে ১০টায় মেয়েটি পুরিন্দা কেএম সাদেকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে, ছাত্রলীগনেতা অপু বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মেয়েটিকে তার কালো রংয়ের প্রাইভেটকারে তুলে তাদের বাড়ির পাশে বালুর মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে প্রাইভেটকারের ভিতরে ধর্ষণ করে। ওই সময় মেয়েটি কান্নাকাটি করলে অপু তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করবে বলে আশ্বস্ত করে চলে যায়। সম্প্রতি মেয়েটি অপুকে বিয়ের কথা বললে অপু মেয়েটিকে বিয়ে করবেনা বলে জানায়।
জানা যায়, মঙ্গলবার ধর্ষিতা তার পিতা-মাতাকে ধর্ষণের কথা জানালে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ছাত্রলীগনেতা অপুকে আসামী করে আড়াইহাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় বুধবার সকালে পুলিশ নোয়াদ্দা এলাকা থেকে ধর্ষক অপুকে গ্রেপ্তার করে।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, মামলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তকে আটক করেছি। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ (ভিক্টোরিয়া) জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।