রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দিতে না পারা, এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়াসহ হুমকি-ধমকি দেয়ার অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলজার হোসেন।
রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউপিতে ভোট বর্জন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
গোলজার হোসেনের অভিযোগ, ইউপির ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতেই পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি৷ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহেদ আলী ও তার লোকজন গোলজারের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। অন্য কেন্দ্রগুলোতেও তার এজেন্টদের হুমকি-ধমকি দেয়া হয়ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি ভোট বর্জন করেছেন।
চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৭টি কেন্দ্রের একটিতেও তার এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি৷ গত তিনদিন ধরেই নৌকার প্রার্থীর লোকজন তার এজেন্টদের হুমকির মুখে রেখেছে৷ এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত জানিয়েছিলেন কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ গোলজার হোসেন।
এ বিষয়ে কায়েতপাড়া ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এসব বিষয়ে কেউ কোনো প্রকার অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তিনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করতেন।
প্রসঙ্গত, কায়েতপাড়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহেদ আলী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা গোলজার হোসেন আলোচনায় রয়েছেন। গোলজার হোসেন কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।