ঈদের চার দিন আগে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সোহেলকে আহ্বায়ক ও রিদওয়ান সিকদারকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি ঘোষণা করেছিল থানা যুবদল।
কিন্তু কমিটি ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তা কেন্দ্রের নির্দেশে স্থগিত করতে বাধ্য হয় থানা কমিটি। এনিয়ে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবদলে শুরু হয়েছে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া। থানা যুবদলের নেতৃবৃন্দও কেন্দ্রের এমন অযাচিত হস্তক্ষেপে সন্তুষ্ঠ নয়।
সূত্রমতে, ভোলাইল এলাকার সোহেলকে আহ্বায়ক ও কাশীপুরের রিদওয়ান সিকদারকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছিল ফতুল্লা থানা যুবদল। কিন্তু ঈদের আগে তড়িঘড়ি করে আহ্বায়ক কমিটি দেয়াটা পছন্দ হয়নি কেন্দ্রের।
তাই ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে থানা যুবদলের এক নেতা জানান, বিতর্কিত যুবদল নেতা সোহেলকে আহ্বায়ক করায় নানা প্রশ্ন উঠেছিল।
সে নিজে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। ভোলাইল এলাকার চিহ্নিত এই মাদক ব্যবসায়ীকে যুবদলের মতো একটি সংড়ঠনের ইউনিয়ন কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত করায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল ত্যাগী যুবদল নেতাকর্মীরা।
তাছাড়া সদস্য সচিব মনোনীত করা রিদওয়ান সিকদারের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডও তেমন শক্তিশালী নয়। তার বাবা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি। বাবার পদ ও অর্থের বিনিময়ে তিনি সদস্য সচিব পদটি ক্রয় করেছিলেন।
থানা যুবদলের এক সিনিয়র নেতাকে উপঢৌকণ দিয়ে সদস্য সচিব হওয়া রিদওয়ান ছাত্রদলের রাজনীতিতেও জড়িত ছিলেন না। এমনকি ওয়ার্ডের কোন পদেও ছিলেন না। হুট করেই ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব পদ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি।
\
থানা যুবদলের ঘোষিত এই কমিটি দেখে হতাশ হয়েছেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা। ফলে এই কমিটি নিয়ে শুরুতেই দেখা দেয় ক্ষোভ। বাধ্য হয়ে কেন্দ্রিয় যুবদল ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে থানা যুবদলের সভাপতি মাসুদুর রহমান জানান, আমাদের যুবদলের অনেক নেতাকর্মীই মূল দলের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে গেছেন। বাধ্য হয়েই আমরা যুবদলের কমিটি গঠন করেছিলাম। কিন্তু কেন্দ্র এটা আপাতত স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। সেজন্য স্থগিত করেছি। আশাকরি কিছুদিন পর আমরা কমিটি পুণরায় ঘোষণা করবো।