নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নব নির্বাচিত ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল বাদলের বিরুদ্ধে তার প্রথম স্ত্রী সাদিয়া নিঝু স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বিষয়টি সমাধান না হলে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সাংবাদিকদের সাদিয়া নিঝু বলেন, ২০০৭ সালে আমার সঙ্গে শাহজালাল বাদলের বিয়ে হয়। কিন্তু সে আমাকে স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। আমাদের একমাত্র ছেলে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে হয়েছে। কারণ বাদল সন্তানদানে সম্পূর্ণ অক্ষম। সে আমার অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। তার চাচা, চাচাতো ভাই কাউকে সে প্রধান্য দেয় না। তার মা ৪৫ দিন ধরে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, সে তার কোন খরচ দেয়নি। বাদল মায়ের একমাত্র ছেলে। তার বাবা দুই বিয়ে করেছে। তাঁর মা ৭ বছর যাবত লিভার ক্যান্সারে ভুগছিলেন। আমার পেগন্যান্ট অবস্থায় সে টালবাহানা শুরু করে। সেসময় থেকে তার ফোন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওয়েটিং থাকতো, বাসায় থাকতো না। আমার বাচ্চাটা খুব অসহায়। ১০ বছর যাবৎ আমাদের মাঝে স্বামী স্ত্রীর কোন সম্পর্ক নেই। আমার অন্যায় কি আমি জানতে চাই। যেহেতু সে জনপ্রতিনিধি, আমি জানতে চাই আমার সন্তানের দোষ কি?
তিনি আরও বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জের মেয়ে। আমি জানতে চাই আমার সন্তানকে কেন এ বাসায় আসতে দেয়া হচ্ছে না। আমি কেন প্রতারিত হচ্ছি। আমার দুটি সন্তান মারা যাবার পর এটা আমার একমাত্র সন্তান। আমরা অসহায়, আমাদের কোন খরচ সে দিচ্ছে না। আমি বাসায় আসার পর থেকে সে আমার ফোন ধরেনা। আর বাসায়ও আসেনা। আমি এ বিষয়ে মামলা করবো, আইনগত ব্যবস্থা নেব। আমি চাই সমাজের সকলে আমার পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা করুক।
তবে কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল সাংবাদিকদের জানান, নিঝু নেশাগ্রস্থ। তাকে তার সুস্থতায় রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হবে। তার বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এলাকাবাসী জানায়, সাতখুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নুর হোসেনের ভাতিজা কাউন্সিরর বাদলের ৩ থেকে ৪টি স্ত্রী রয়েছে। কোন স্ত্রী তার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুললে ওই স্ত্রীকে কখনো পাগল, কখনো মানসিক অসুস্থ, কখনো নেশাগ্রস্থ বলে চালিয়ে দেয়।