নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার হৃদয়ে অনেক রক্তক্ষরণ। আমি মানসিকভাবে সুস্থ না। অনেকটাই ভেঙে পড়েছি। কারণ আমার বাবা মা ভাই, স্বজনসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধার কবরে শ্মশানের মাটি এনে রেখেছিল। সেই ঘটনার মানসিক যন্ত্রনা এখনো আমি ঘুচাতে পারি নাই। তাই আমার মনটা বেশী ভালো না। রাজনীতিতে আমাদের পূর্ব পুরুষদের অনেক অবদান আছে। আমরা সে হিসেবে অনেক ঠুনকো। যখন তাঁদের কবর নিয়ে এসব ঘটনা ঘটে তখন কষ্ট লাগে। সেই কষ্টের দাগ এখনো শুকায়নি। জানি না কবে শুকাবে। ঘটনার পর সিটি করপোরেশন একটা প্রেস রিলিজ দিল। কিন্তু সেখানেও মিথ্যার আশ্রয়। আমি এসব বলে আর হৃদয়ের বেদনা বাড়াতে চাই না।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের চাষাঢ়ায় রাইফেল ক্লাবে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি অচিরেই ফতুল্লার মানুষের ঘরে ঘরে যাবো যেভাবে ভোটের আগে গিয়েছিলাম। এবার যাবো মানুষকে জাগাতে। এলাকাভিত্তিক পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কায়েম করতে।
শামীম ওসমান বলেন, আমি চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিয়ে অচিরেই একটি বৈঠক করবো। সেখানে সবাই খাবো। তার পর থেকেই আমরা মাঠে নামবো। মানুষের ঘরে ঘরে দুয়ারে গিয়ে আহবান জানাবো নিজেরা জাগ্রত হোন। পাড়া মহল্লার পরিবেশ পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে হবে। যাতে মানুষ রাত ২টার সময়েও বাড়ির বাইরে গিয়ে নিরাপদ বোধ করে। মা বোনেরা যেন এলাকাতে নিরাপদে থাকে। আর আমি চাই এমন কিছু করে যেতে, যাতে মানুষ মৃত্যুর পর অন্তত চোখের পানি ফেলে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগরের সেক্রেটারী খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।