কোলকাতা পৌর কর্পোরেশনের ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৪টিতেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বাকি ১০ আসনের মধ্যে ৩টিতে বিজেপি, ২টিতে বামফ্রন্ট, ২টিতে কংগ্রেস এবং ৩টিতে জয় পেয়েছেন অন্যান্য দলের প্রার্থীরা।
পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মোট গণনাকৃত ভোটের ৭২ শতাংশই গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। অন্যদিকে আসন সংখ্যায় কম হলেও প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে বিজেপির চেয়ে এগিয়ে আছে বামফ্রন্ট। বিজেপি পেয়েছে ৯ শতাংশ ভোট এবং ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছে বামফ্রন্ট।
তবে আসন সংখ্যায় এগিয়ে থাকায় প্রধান বিরোধীপক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে বিজেপিই।
চলতি বছর মার্চ-এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত হলো বিধানসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে মোট গণনাকৃত ভোটের ৫৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তার আটমাস পর হওয়া কলকাতার পৌর কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট প্রাপ্তির হার বেড়েছে ১৫ শতাংশ। এক প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার উল্লেখ করেছে, কোনো রাজনৈতিক দল মাত্র আট মাসের ব্যবধানে ১৫ শতাংশ ভোট বাড়িয়েছে- এমন নজির খুব বেশি নেই।
গত পৌর নির্বাচনে কলকাতা মহানগরে তৃণমূল পেয়েছিল ৫০ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। সেই হিসেবে এবারের নির্বাচনে দলটির প্রাপ্ত ভোট বেড়েছে ২০ শতাংশেরও বেশি।
২০০৯ সাল থেকে বড় আকারে নির্বাচনী সাফল্য দেখতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর ২০১৬ এবং ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে শক্তি বাড়িয়েছে তৃণমূল।
গত রোববার (১৯ ডিসেম্বর) কলকাতা পৌর কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার দিন ছিল মঙ্গলবার।
এই দিন আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এমন জয় যে মিলতে পারে তার ইঙ্গিত অবশ্য আগেই দিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। বিরোধীরা সকলে মিলে দশটি ওয়ার্ডে আটকে থাকবে বলে আগাম হিসেব ছিল তৃণমূলের অন্দরেও। কিন্তু মোট ভোট প্রাপ্ত এক লাফে যে ৭২ শতাংশ টপকে যাবে তা হয়তো তৃণমূল নেতৃত্বের হিসাবে ছিল না।’