করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নতুন করে লকডাউন ও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ।
গত সপ্তাহে নেদারল্যান্ডসে রের্কড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৩ সপ্তাহের আংশিক লকডাউন জারি করা হয়। দেশটির বার ও রেস্তোরাঁগুলো ৮টায় বন্ধ এবং সব ধরনের অনুষ্ঠানে জনসমাগমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে এসব বিধিনিষেধের প্রতিবাদে নেদারল্যান্ডসের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। রটারডামে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে। রোববার কয়েকটি শহরে রাস্তায় নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা হেগ শহরে পুলিশকে লক্ষ্য করে আতশবাজি নিক্ষেপ ও সাইকেলে আগুন দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সহিংসতায় ৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এছাড়া অন্তত ৩ জন বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করায় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। দেশটিতে সোমবার থেকে ২০ দিনের দেশব্যাপী লকডাউন চলবে।
ইতালিতে কর্মক্ষেত্র, পর্যটন কেন্দ্র ও গণপরিবহনে চলাচলের জন্য করোনার টিকা সনদ ‘গ্রিন পাস’ বাধ্যতামূলক করায় রোমে কয়েক হাজার মানুষের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
ফ্রান্সেও নিজস্ব ‘কোভিড পাস’ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সহিংসতার খবরও জানিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইউরোপে করোনভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে। ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক ড. হান্স ক্লুজ বলেন, ইউরোপ জুড়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী বসন্তের মধ্যে আরও ৫ লাখ মানুষ করোনায় মারা যেতে পারেন।