নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, ওয়াসা পানির কথা আমি ডেইলি বলছি, আবার ডেইলি ডেইলি আমার বিরুদ্ধে ওয়াসা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। যেহেতু ওয়াসা ঢাকা থেকে নিয়ে নিয়েছি তাই এইটা আমার জন্য অনেক বড় চ্যালিঞ্জিং বিষয়।
এইটা যখন ঢাকা ওয়াসাতে ছিলো তখন কিন্তু ভর্তুকি দিয়ে চালানো হতো। আমাকে কিন্তু গভর্মেন্ট এখনও কোন টাকা দেয় নি। এই লস প্রজেক্ট নিলাম। এই জন্য টাকা চেয়েছি। ২০০০ কোটি টাকার একটি প্রজেক্টও জমা দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারী) নাসিকের ১০নং ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আইভী আরো বলেন, আমার দায়িত্ব হলো নেক্সট র্টামে যদি আসি মানুষের খেদমত করার জন্যই, প্রতিটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পানিটাকে পৌঁছে দেওয়া। এছাড়াও অনেক কাজ আছে যেমন খেলার মাঠ হচ্ছে আনেক, আমরা নদীর ওই পাড়ে কদমরসুলে খেলার মাঠ পেয়েছি। শহরের মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে খেলার মাঠ নাই।
ইচ্ছা আছে গভরমেন্টের জায়গা একোয়ার করে হলেও কিছু মাঠ আরও বাড়িয়ে দেওয়া। কিছু পার্ক করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন হলো শিশু বান্ধব নগরি গড়তে হবে। সেই গুলোর প্রতি বেশি লক্ষ দেওয়া।
আমি অনেক কাজ করেছি, আপনি ওলি গোলি আনাচে কানাচে পাবেন না যেখানে কাজ হয়নি। প্রচুর কাজ হয়েছে। তারপরও নতুন নতুন প্রবলেম দেখা দেয়। সিদ্ধিরগঞ্জ বিশাল লেক হচ্ছে ৫.৫ কিলোমিটার। ৬০ কোটি টাকার মত কাজ। এটা এখন সম্পুন্ন করতে পারবো না। এর পরবর্তিতে আরও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ হবে।
জনগনের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কিছু কিছু ওয়ার্ডে আলাদা ডিমান্ডও আছে যেমন, সিদ্ধিরগঞ্জ কিছু ওয়ার্ডে কবরস্থান নেই, তারা ডিমান্ড করেছে করবস্থান। আবার অনেক জায়গায় স্কুলের কথা বলেছে প্রাইমারি স্কুলের কথা।
স্কুল আছে তারপরও রাস্তার এপাশে ওপাশে, স্কুলের কাজটা আমার না। তারপরও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন অনেক গুলো চার, পাঁচটা স্কুল করে দিয়েছি। এক হলে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা বলে নাহলে নিজস্ব উদ্যেগে করে দিবো।
মাদক ও সন্ত্রাস এর কর্মকান্ডের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি হয়তো সবাই কে সচেতন করতে পারবো। হয়তো আমি সভা ও সেমিনার করলাম, বড় বড় কথা বললাম। কিন্তু এই কাজ গুলো হলো আইন সৃঙ্খলা বাহিনীর। আমাদের শহরে কোথায় মাদক বিক্রি হচ্ছে, কারা বিক্রি করছে এগুলো আইনসৃঙ্খলা বাহিনী লক্ষ করবে।
তারা চাইলে তা রোধ করতে পারে। আমাদের হেল্প লাগলে দিবো। আমার কাজটা কিন্তু সচেতন করা। বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় গিয়ে কথা বলা। মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলা। প্রচার চালানো। তার বাহিরে কিন্তু আমার কাজ নাই। আমি মাদকের বিরুদ্ধে স্বচ্চার ছিলাম এখনও আছি।
নারিদের প্রতি আপনার কোন চমক থাকবে নাকি এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নারিদের জন্য অনেক কাজ করেছি। এখনও দেখবেন অনেক নারি এখানে । তাদেরকে কুদ্র ব্যবসার ব্যবস্থা করেছি, লোন দিচ্ছি, তাদের ছেলে মেয়েদের কে লেখা পড়ার জন্য বই খাতা কিনে দিচ্ছি, সেলাই কাজ সেখাচ্ছি।
নারিদের সাবলম্বি করতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবেও অথাৎ একটি নারিকে তার মর্যাদা নিয়ে দাড়িয়ে থাকার জন্যেও কাজ করছি। লিডারশিপ গ্রো করা ত্রিনোমুল থেকে। নারিদের ডিমান্ড অনুযায়ি কাজ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমি জয়ের জন্য ১০০% আশাবাদি। এমন কোন জায়গা নাই যেখানে নারিরা সারা দেয় নাই, পুরুষ রা সারা দেয় নাই। সিদ্ধিরগঞ্জে ৮০% থেকে ৯০% ভোট কাষ্ট হবে নৌকায়। নদীর ওই পাড়েও এই রকম কাষ্ট হবে। আমি ১০০% নিশ্চিত আমি জয় লাভ করবো।
আমি অনেক কাজ করেছি। অন্য কোন কিছুর সাথে জড়িত ছিলাম না। না চাঁদা বাজি, না সন্ত্রাসি বা অন্য কিছু। চলমান কাজ গুলোকে সমাপ্ত করার জন্য মানুষ আমাকে ভোট দিবে।