নারায়ণগগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, সারা পৃথিবীতে এখন ভালো মানুষের বড়ই সংকট। ভালো সাজে সবাই। মুখোশ পড়ে সাজে। এতো মুখোশ পড়া মানুষ এতো মেকাআপ করা মানুষ। কিন্তু মুখোশের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা বিভৎস চেহারা। এই বিভৎস চেহারা মুখোশ খুলে দেখলে তখন আতঙ্কিত হই। সেই মুখোশহীন চেহারা জাতীর পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই এই কারণে আমি সৎ মানুষগুলোকে খুব ভালোবাসি এবং শ্রদ্ধা করি।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) নগরীর পুরান কোর্ট রোডে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে অডিটোরিয়ামে নারায়নগঞ্জ টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের আয়োজিত অভিযেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমার জন্ম হয়েছিলো একটা সৎ মানুষের ঘরে। আমি (শামীম ওসমান) খান সাহাবে ওসমান আলীর নাতি, যিনি ১৯২২ সালে রোলস রয়েলস গাড়ী কিনেছেন। আমি একেএম সামসুজ্জোহার ছেলে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার একদিন পর যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জেলখানায় যখন জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়, পাশের কক্ষে আমার বাবাও ছিল। আমার বড় ভাই নাসিম ওসমান বিয়ের রাতেই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রতিশোধ নিতে বের হয়েছিলেন। ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে আমরা এক বেলা ভাত খেয়েছি, দু’বেলা খাইনি। পরীক্ষার ফরম ফিলাম করতে পারিনি ৯০০ টাকার জন্য। আমরা এটাও দেখেছি, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ১০ জানুয়ারী যখন প্রত্যাবর্তন করেন তখন সবচেয়ে সুন্দর কান্না কেঁদে ছিল খন্দকার মোস্তাক আহম্মেদ, এটাও ছিল নাটকীয়তা।
জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আফজাল হোসেন পন্টির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের সদস্য কাশেম হুমায়ন, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফরুক, যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজ্জাদ তপু, বিকেএমইএ’র প্রাক্তন সহসভাপতি মাসুদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার. মো মোস্তাফিজুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আরিফ আলম দীপু, রুমন রেজা প্রমুখ।