নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের তিন প্রার্থী। তাদের অভিযোগ, এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষাবলম্বন করছেন।
অভিযোগকারী তিন প্রার্থী হলেন- তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া।
শাহজাহান ও সাইফুল গত ১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেন। তৈমুর আলম অভিযোগটি দেন ২ জানুয়ারি। তাদের তিনজনেরই অভিযোগ প্রায় একই।
তিন প্রার্থীই অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সমর্থকরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন। প্রার্থীদের সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছেন। এই ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে বলার পরও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না। থানায় অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না, উল্টো ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
তিন প্রার্থীরই অভিযোগ, এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল ও রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা নৌকার প্রার্থীর কাছ থেকে অর্থসুবিধা নিয়ে তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এমন অবস্থায় তাদের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। এই তিন প্রার্থীই এসপি ও ওসির প্রত্যাহার চেয়ে দায়িত্বশীল কাউকে এই নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।
যদিও এসব বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি আসনটিতে নৌকার প্রার্থী ও তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর। তিনি বলেন, ‘ভূমিদস্যু একটি মহল রূপগঞ্জকে দখল করতে চায়। এটি দখল করে তারা তাদের আবাসন ব্যবসা গড়ে তুলতে চায়। তারা জানে, আমি রূপগঞ্জবাসীর পক্ষে সবসময় ছিলাম, তাদের হীন উদ্দেশ্য হাসিল করতে গেলে আমি হবো তাদের সামনে প্রধান বাধা। এই কারণে তারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নানাভাবে অর্থ ও পেশিশক্তি দিয়ে সহযোগিতা করছে। আমাকে কোনভাবে জব্দ করতে না পেরে, তারা এখন প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নতুন অভিযোগের ফাঁদ পেতেছে।’
এই বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, ‘যেহেতু অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা কমিশনই নিবে।’