রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সাঈদা আক্তার শিউলী নামে সেই নারী। এবার তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এস এস ফিলিং স্টেশনে ক্ষতিসাধনের অভিযোগ এনেছেন। এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপপ্রচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিউলী।
শনিবার (১১ আগস্ট) সোনারগাঁ থানায় করা জিডিতে সাঈদা আক্তার শিউলী বলেন, সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে অবস্থিত এস এস সিএনজি ফিলিং স্টেশনের স্বত্ত¡াধিকারী তিনি। গত শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে একটি সিমেন্ট মিক্সার মেশিনের টেইলর (ঢাকা মেট্রো-শ: ১১-১৬৩৮) এসে হাই ভোল্টেজের দু’টি বৈদ্যুতিক খুনি, বড় তিনটি সাইনবোর্ড এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এতে তার প্রতিষ্ঠানের দুই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জিডিতে দাবি করেন শিউলী।
তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা খন্দকার ট্রান্সপোর্টের মালিক। তিনি ফতুল্লা থানায় ডিজিটাল আইনে যে মামলাটি করেছেন তা তুলে নেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন হুমকি দিচ্ছিলেন তারা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করাসহ প্রাণে মেরে ফেলা ও মিথ্যা মামলা-হামলা করার হুমি দিচ্ছিলো অভিযোগ তার।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই নারী আমাকে নানাভাবে হয়রানি করছে। মামলা দিয়েও যখন আমাকে টলাতে পারছে না তখন এইসব মিথ্যা অভিযোগে জিডি করছে। জিডিতে গাড়ির যেই বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে বোঝা যায় ওটি একটি সিমেন্ট কারখানার গাড়ি। এই ধরনের গাড়ি আমাদের ট্রান্সপোর্টের নেই। আমাদের ট্রান্সপোর্টের গাড়ি সব পোশাক কারখানার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’