রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দীন নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছে উত্তেজিত জনতা। তারা ঘাতক বাসসহ একে একে আটটি বাসে আগুন দিয়েছে।
সোমবার রাতে রামপুরা বাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ১২টা ১০ মিনিট) মালিবাগ থেকে রামপুরা পর্যন্ত দুইপাশের সড়ক বন্ধ রয়েছে। এ সময় শুধু বাসগুলো জ্বলতে দেখা গেছে। উত্তেজিত জনতা বাসগুলোতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১১টার পরপরই রামপুরার আবুল হোটেলের পাশে একটি বাসে আগুন দেয়ার সংবাদ পাই। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট পাঠানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে দেখেন আরও বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরে ইউনিট সংখ্যা বাড়ানো হয়।
রাত পৌনে এগারোটার দিকে রামপুরা বাজার এলাকায় বেটার লাইফ হাসপাতালের পাশের সড়কে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয়। সে একরামুন্নেসা স্কুলের পরীক্ষার্থী ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী আজিজুল হক বলেন, ওই শিক্ষার্থী বাস থেকে রামপুরা বাজার এলাকায় নেমেছিল। বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে অনাবিল পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতির আরেকটি বাস এসে তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তবে ঘটনাটি আদৌ এমন কি না- এ বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাসচাপায় রামপুরা বাজারের সামনে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ ও বাসে আগুন দিয়েছে। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে।