শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

‘একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার’

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩, ৩.৪১ এএম
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাসদের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নিখিল দাসের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন- বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, নাসিক ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, বাসদ সোনারগাঁ উপজেলার সমন্বয়ক বেলায়েত হোসেন, বাসদ ফতুল্লা থানার আহ্বায়ক এম এ মিল্টন, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদির।

বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, আওয়ামী সরকার ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, হামলা, মামলা দিয়ে দেশে একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন, দুদকসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছে আওয়ামী সরকার। জনমত উপেক্ষা করে সরকারের তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশে ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ৭টি দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৪টি নির্বাচনকে মোটামুটি সুষ্ঠু ধরা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচনে তার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। সেজন্য তারা দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন চায়। বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন করা এখন দেশের জনগণের দাবি। ফলে সরকার একতরফা নির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে সংকট নিরসনের পরিবর্তে আরও ঘনীভূত হবে। বাস্তবে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। রিজার্ভ কমে ১৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। লুটপাট, দুর্নীতি সর্বত্র চলছে। বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম পাগলা ঘোড়ার মতো বেড়েই চলছে। প্রায় ১২ কোটি মানুষ তাদের চাহিদা মতো পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছে না। পোশাক শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকার দাবিতে আন্দোলনে নেমে ৪ জনকে জীবন দিতে হয়েছে। মালিক ও শ্রমিক মিলে মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort