দক্ষিণবঙ্গে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক সংঘাতের গল্প ফুটে উঠেছে ‘ফেউ’ ওয়েব সিরিজে। ইতিহাসের সেই ধুলোপড়া অধ্যায় এবার পর্দায় তুলে আনলেন নির্মাতা সুকর্ণ সাহেদ ধীমান। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগনা জেলার সুন্দরবন অংশের দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে ঘটেছিল ভয়াবহ এক গণহত্যা। যেটির শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশি শরণার্থীরা। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছিল ভারতে। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা অংশ আশ্রয় নেয় মরিচঝাঁপিতে। রাজনৈতিক স্বার্থে সেখানে শুরু হয় শরণার্থী উচ্ছেদ অভিযান। খাবার, পানি বন্ধ করে দেওয়া থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে আগুন দেওয়া, নৌকা ডোবানোর মতো ভয়ানক কাণ্ড ঘটানো হয়েছিল।
সম্প্রতি সিরিজটির টিজার প্রকাশ হয়েছে। সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন তাহমিনা অথৈ। সিরিজে কয়েকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সিরিজে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে অথৈ বলেন, ‘অভিজ্ঞতা একেবারেই অন্যরকম। আমার অন্য চরিত্রগুলো থেকে এই চরিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। ওজন বাড়াতে হয়েছে, রোদে পুড়তে হয়েছে। আমি সুনীতা চরিত্রে অভিনয় করেছি, এই চরিত্রের জার্নিটা এত সহজ ছিল না। চরিত্রের অনেক ছায়া ছিল। পরিচালক ন্যাচারাল অভিনয় চেয়েছেন। আমি চেষ্টা করেছি। গত বছর শীতে আমরা শুটিংয়ে ছিলাম। শুটিং হয়েছে সুন্দরবন। আমরা লঞ্চে থাকতাম। কুমিরের ভয়, বাঘের ভয় সবমিলিয়ে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে।’ কাজটি নিয়ে বেশ আশাবাদী অথৈ। তিনি বলেন, আমাদের সবার কাজের প্রতি সততা ছিল। অনেক সময় ভালো অভিনয় করলেও নির্মাণ যদি ভালো না হয় পিছিয়ে যায় অনেক প্রোডাকশন। আমাদের টিমটা অনেক ভালো ছিল। পরিচালক দুর্দান্ত একটি সিরিজ বানিয়েছেন। এটি তার প্রথম ওয়েব সিরিজ। একটা পর্ব দেখার পর দর্শককে ধরে রাখবে সিরিজটি। আমি খুবই আশাবাদী। আমার বিশ্বাস ‘ফেউ’ দর্শকদের মন ছুয়ে নেবে।’ ভবিষ্যৎ কাজ নিয়ে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে অর্থে বলেন, ‘আবার যদি এমন চরিত্র, টিম পেয়ে যাই আবার ফিরে আসব নতুন কোনো চরিত্র হয়ে, কারও জীবনের কথা বলতে। কঠোর পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।’
সিরিজটিতে তাহমিনা অথৈ ছাড়াও চঞ্চল চৌধুরী, তারিক আনাম খান, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তানভীর অপূর্ব, হোসেন জীবন, রিজভি রিজু, ফাদার জোয়া, বাবলু বোস ও একে আজাদ সেতু অভিনয় করেছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি সিরিজটি মুক্তি পাবে।