প্লে-অফ পর্ব আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে চেন্নাই সুপার কিংসের। অন্যদিকে ভিন্ন সমীকরণ রাজস্থান রয়্যালসের। প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জিততে হবে সাঞ্জু স্যামসনের দলের। চেন্নাইয়ে বিপক্ষে এ ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। আগে ব্যাট করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের পরীক্ষা নিয়েছেন চেন্নাইয়ের ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। অনবদ্য ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ম্যাচে বল হাতে বিবর্ণ মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫১ রান, উইকেটের দেখা পাননি।
ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজকে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের স্বাদ পান ঋতুরাজ। এই ওপেনারের ৬০ বলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৮৯ রান তুলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। এ ম্যাচ জিততে ১৯০ রান করতে হবে রাজস্থান রয়্যালসকে।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ঋতুরাজ ও ফাফ ডু প্লেসিসের উদ্বোধনি জুটিতে ভালো শুরু পায় চেন্নাই। এই দুই ওপেনার স্কোর বোর্ডে জমা করেন ৪৭ রান। ফাফ ২৫ রান করে আউট হন রাহুল তেওয়াটিয়ার বলে। সুরেশ রায়না একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি, ৫ বল খেলে ৩ রান করে তেওয়াটিয়ার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে মঈন আলীর সঙ্গে জুটি গড়ে ৫৭ রান যোগ করেন ঋতুরাজ। ঐ তেওয়াটিয়ার বলেই মঈন ফেরেন ১২ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে।
আম্বাতি রাইডুকে থিতু হতে দেননি চেতন সাকারিয়া। রাউডু আউট হন ২ রান করে। তবে একপ্রান্ত আগলে খেলে চেন্নাইয়ের রানা চাকা সচল রাখেন ঋতুরাজ। পঞ্চম উইকেট পার্টনারশিপে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান ঋতুরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা। মাত্র ২২ বলে ৫৫ রান জমা করেন দুজন। ১৫ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জাদেজা। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন ঋতুরাজ। ৬০ বলের ইনিংসটি সাজান ৯টি চার ও ৫টি ছয়ের মারে।
এদিন বল হাতে বিবর্ণ মুস্তাফিজ। নিজের প্রথম ওভারে ৫ ও দ্বিতীয় ওভারে দেন ১০ রান। তৃতীয় স্পেলে করেন টানা ২ ওভার। যেখানে ইনিংসের ১৮ ও নিজের তৃতীয় ওভারে খরচ করেন ১৪ রান। শেষ ওভারে আরও উদার মুস্তাফিজ। এবার দিলেন ২২ রান। ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন সর্বোমোট ৫১ রান, উইকেটের দেখা পাননি।