যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহারে ইসরায়েল কর্তৃক সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন প্রশাসন। শুক্রবার (১০ মে) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বলেছে, গাজায় সামরিক অভিযানে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে ইসরায়েল হয়ত আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন করেছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর এটিই মার্কিন প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তবে বাইডেন প্রশাসন কোনও সিদ্ধান্তমূলক উপসংহারে পৌঁছায়নি। তারা বলছে, গাজায় যুদ্ধের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট ঘটনাগুলো যাচাই করা সম্ভব হয়নি। যেসব ঘটনায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের কাছে ৪৬ পৃষ্ঠার পর্যালোচনায় এই সম্ভাব্য অভিযোগের কথা বলা হয়েছে।
এই পর্যালোচনায় ইসরায়েলের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের তিক্ততার সম্পর্ক আরও বাড়তে পারে। রাফাহতে অভিযান নিয়ে ইতোমধ্যে দুই দেশ ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েলের রাফাহতে অভিযান পরিকল্পনা নিয়ে একাধিকবার সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন।
এছাড়া এরই মধ্যে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের একটি অস্ত্রের চালান আটকে দিয়েছে। যা মার্কিন নীতির গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। দীর্ঘমেয়াদি সমর্থনের কথা তুলে ধরে ওয়াশিংটন বলেছে, তারা পর্যালোচনার জন্য চালানটির সরবরাহ আটকে দেওয়া হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাত মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন শহরের অ্যাপার্টমেন্ট, হাসপাতাল, মসজিদ ও স্কুলের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘ বলছে, উত্তর গাজা ‘দুর্ভিক্ষের’ মধ্যে রয়েছে।
অপরদিকে, ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।