নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, এটা আমাদের নয়, সরকারের পরাজয়। তিনি বলেন, জনগণের ভালোবাসায় আমরা জয়ী, তাদের প্রতি, মিডিয়ার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
রোববার রাতে নাসিক নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে পরাজিত হবার খবরে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন।
তৈমূর বলেন, আপনারা দেখবেন আমি ঘটনাগুলো জানিয়েছি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আমার সমন্বয়ককে কাগজসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার মাধ্যমেই শুরু হয় এবং আমার লোকজন প্রতিদিনই গ্রেপ্তার হতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, হেফাজতের মামলা দেয়া হয়েছে সকলকে। এদের মধ্যে হিন্দু লোকও আছে। এখন দেখা যায় মুসলমান তো করেই হিন্দুরাও হেফাজত করে। আজ (গতকা) সকাল থেকে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বন্দরের সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমার চিফ এজেন্টের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অবস্থায় একটা মানুষ স্বতন্ত্র দাড়িয়ে কীভাবে ঠিক থাকতে পারে। তার পরেও জনগন আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
তৈমূর বলেন, ঢাকার মেহমানদের অতিরঞ্জিত কথার পরে গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীর কবির নানককে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ড তাদের জন্য ঝুকিপূর্ণ। ১৩নং ওয়ার্ডে আমি থাকি, আমার ভাই তিনবারের কাউন্সিলর। আর ১২নং ওয়ার্ড সরকারি এমপির ওয়ার্ড। আমি বললাম সরকারই যদি তার এমপির কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ মনে করে তাহলে আমার কিছু করার নেই। আমার কোন ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই।
তিনি বলেন, বেশ কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ত্রুটিপূর্ন ও ¯েøা ছিল। অনেক লোক ভোট দিতে পারেনি। ইভিএমের কারচুপির জন্য আমাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই সকলকে যারা নির্বাচনে আমার পাশে থেকে সহযোগীতা করেছেন। আমার লোকজন বাড়িতে থাকতে পারেনি। এটিএম কামালের মত লোককে ঘেরাও করা হয়েছে গ্রেপ্তার করার জন্য।
তৈমূর বলেন, ”তার (আইভী) বিষয়ে আগেও মন্তব্য করিনি এখনও করবো না। এটা খেলা হয়েছে সরকার বনাম জনগন, সরকার বনাম তৈমুর আলম খন্দকার। আমি সিটি করপোরেশনের জন্য কী করেছি তা তাকে জিজ্ঞেস করেন। নারায়ণগঞ্জবাসী এগুলো জানে। বিএনপি আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতাকমীরা উপস্থিত ছিলেন।