নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা কাশীপুর বাংলাবাজার রোজ শুক্রবার ( তিন ঘটিকার সময় ১৫/০৩/২৪ ইং)জান্নাত বাগ জামে মসজিদ ও আহলে হাদিস একাডেমি মাদ্রাসার মধ্যে ইফতারের আযান নিয়ে বিরোধ চলে, জান্নাত বাগ জামে মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিদের দাবি তারা ইফতারের চার মিনিট পূর্বেই আযান দিয়ে এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, সাধারণ মুসল্লিরা( সুবহে -সাদেক থেকে এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত)সারা দিন সর্বপ্রকার পানাহারে বিরত থাকে একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে কিন্তু ওই মাদ্রাসা চার মিনিট পূর্বে আযান দিয়ে সাধারণ মুসল্লিদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, এতে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার দায়িত্বশীল লোকদের কাছে বলে, এলাকার সাবেক মেম্বার এবং বর্তমান কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সাত্তার তাদেরকে ফোন করে নিষেধ করে বলে ,তারা ইফতারের যেন চার মিনিট পূর্বে আজান না দেয় কিন্তু এলাকার মুরুব্বীদের কথা তোয়াক্কা না করে, তারা পূর্বের ন্যায় বৃহস্পতিবার ৪ মিনিট পূর্বে আযান দেয়, পরে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষ করে মুসল্লিরা (ধর্মপ্রাণ সাধারণ জনগণ) একত্রিত হয়ে তাদের মাদ্রাসার উদ্দেশ্য যেয়ে প্রতিবাদ জানায়, সংবদ্ধ জনতা একে অপরে যখন টানটান উত্তেজনা ছিল তখন লেখক এম এইচ তালুকদার মাইক হাতে নিয়ে সাধারণ ধর্মপ্রাণ জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলে” আপনারা সবাই শান্ত হন, আপনারা কেহ বিশৃঙ্খলা করবেন না, আমরা পবিত্র জুম্মার নামাজ শেষ করেছি এবং সবাই রোজাদার ব্যক্তি, যারা এই মাদ্রাসায় রয়েছে তারাও মুসলমান! আমরাও মুসলমান! তারাও নামাজ পড়ে, আমরাও নামাজ পড়ি, আপনারা কেহ ঝগড়া ফাসাদ করবেন না, কেহ উত্তেজিত হবেন না, আমরা এলাকার মুরুব্বীদের(গুরুজন) নিয়ে এবং দায়িত্বশীল লোকদের নিয়ে, একটা শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করব,”। তখন উত্তেজিত মুসল্লীরা শান্ত হয়, ধীর স্থির হয়ে সেখান থেকে বের হয়ে যায় এবং মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল বুঝতে পেরে তারা মাইক নিচে নামিয়ে নেয় এবং কথা দেয় তারা মাইক দিয়ে ইফতারের আযান দিবে না এবং তাদের ভুল বুঝতে পেরে সাধারণ জনগণের কাছে ভুল স্বীকার করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেম্বার ও কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সাত্তার, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক ও রুদ্রকন্ঠ পত্রিকার সহ সম্পাদক ডেন্টিস্ট মোঃ হাফিজুল ইসলাম তালুকদার (এম এইচ তালুকদার ) লুৎফর বিশ্বাস, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব, মোঃ স্বপন, মোহাম্মদ শামীম ঐমাদ্রাসার শিক্ষকগণ এবং মসজিদের ইমামগণ এছাড়াও এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ধর্মপ্রাণ সাধারণ জনগণ।