করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নেদারল্যান্ড শনিবার ক্রিসমাস লকডাউন এবং লন্ডন এটিকে “প্রধান ঘটনা” হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইউরোপ কোভিড সংক্রমন বৃদ্ধি এবং উচ্চ মিউটেশন করা ওমিক্রন ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন সতর্ক করেছেন যে, ওমিক্রন জানুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ ইউরোপে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভেরিয়ান্ট প্রথম শনাক্ত করা হয়, পরে অনেক দেশ ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য ব্যবস্থা পুনরায় আরোপ করছে।
ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শপিং এবং সাংস্কৃতিক ও বিনোদন স্থানগুলো বন্ধ থাকবে এবং স্কুলগুলো অন্তত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
ক্রিসমাস ডে’তে বিশেষ দিন বাদে ডাচরা তাদের বাড়িতে অনুমোদিত অতিথির সংখ্যায় সীমাবদ্ধ থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী রুটে এক টেলিভিশন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নেদারল্যান্ডস আগামীকাল থেকে লকডাউনে ফিরে যাবে।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ব্রিটিশ রাজধানীতে কোভিডকে একটি “বড় ঘটনা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং সংক্রমনের উর্ধ্বগতিকে “অত্যন্ত উদ্বেগজনক” বলে অভিহিত করেছেন।
ব্রিটেনে চলতি সপ্তাহে টানা তিনদিন রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত হয়েছে, নতুন করে করোনা মোকাবিলায় আরেকটি লকডাউন বিবেচনা করা হচ্ছে। লন্ডনে বেশীরভাগই ওমিক্রন ভেরিয়ান্ট সনাক্ত।
জার্মান স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে যে, করোনা সংক্রমনে ব্রিটেনকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে, এতে ভ্রমণকারীদের জন্য কঠোর বিধি-নিষেধ আসতে পারে।
রবিবার দিনের শেষে মধ্যরাত থেকে ব্রিটেন থেকে আগতদের টিকা দেয়া হোক বা না হোক তাদের দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে।