যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে বেলারুশে তৃতীয় দফা বৈঠক শেষ করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া। বৈঠকে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের এক উপদেষ্টার বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, মানবিক করিডোরের বিষয়ে ‘নগণ্য ইতিবাচক’ অগ্রগতি হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের এক সদস্যের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্ত পরিস্থিতির তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতিতে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি।
ক্রেমলিনের এক সহযোগী রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলে বলেন, বেলারুশের সংলাপ ‘আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে’।
উভয়পক্ষ বলছে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
স্পুটনিক নিউজ বলছে, বেলারুশের ব্রেস্ট অঞ্চলে পোলিশ সীমান্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে রাশিয়ান প্রতিনিধিদলের প্রধান আলোচক ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেন, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল তাদের সমকক্ষদের আশ্বাস দিয়েছে যে, মঙ্গলবার থেকে মানবিক করিডোরগুলো স্বাভাবিকভাবে কাজ করা শুরু করবে।
ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের সদস্য মিখাইল পোডোলিয়াক নিশ্চিত করেছেন যে, মানবিক করিডোরের বিষয়ে আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।
বৈঠকের আগে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের দাবি মানা হলে মূহুর্তের মধ্যে সামরিক অভিযান বন্ধ করা হবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, তার দেশের জনগণের হত্যাকারীদের কোনোদিন ক্ষমা করা হবে না, শাস্তি তাদের পেতেই হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান দ্বাদশ দিন পার করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এদিনও রাজধানী কিয়েভের আশপাশে রুশ সৈন্যরা ক্রমাগত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিয়েভের কাছে ছোট শহর হোস্তোমেলের স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, রুটি ও ওষুধ বিতরণের সময় গুলিতে শহরের মেয়র ইউরি প্রাইলিপকো মারা গেছেন।
ইউক্রেনের দক্ষিণের মিকোলাইভ শহরটি নতুন করে রুশ হামলার শিকার হয়েছে।
অবরুদ্ধ বন্দর শহর মারিউপোলে বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন। আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষ পানি ও খাদ্যের চরম সংকটে পড়েছে।